বিশ্ব ‘আনফ্রেন্ড’ দিবস আজ, অবাঞ্ছিত বন্ধুদের করুন ছাঁটাই

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় নয় এমন মানুষ এখন হাতে গোনা। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা এক্স সব প্ল্যাটফর্মেই প্রিয় মানুষদের পাশাপাশি যোগ হয় অনেক অচেনা, অপ্রয়োজনীয় কিংবা বিরক্তিকর মানুষও। চাইলে অনেক সময়ই তাদের আনফ্রেন্ড করা সম্ভব হয় না। তবে আজ সেই সুযোগ নেওয়ার বিশেষ দিন ‘আনফ্রেন্ড দিবস’।

প্রতি বছর ১৭ নভেম্বর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় এই দিনটি। ২০১৪ সালে মার্কিন কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেল ‘আনফ্রেন্ড ডে’ প্রতিষ্ঠা করেন সামাজিকমাধ্যমে অবাঞ্ছিত ও সম্পর্কহীন মানুষদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে।

‘বন্ধু’ শব্দটি বহু শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হলেও ‘আনফ্রেন্ড’ শব্দটি জনপ্রিয় হয়েছে সামাজিকমাধ্যমের যুগে। ২০০৯ সালে শব্দটি এতটাই আলোচিত হয় যে অক্সফোর্ড ডিকশনারির সেরা শব্দের স্বীকৃতিও পায়। এর সংজ্ঞা সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটে কাউকে বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দেওয়া।

বিশ্বের বহু দেশেই আনন্দঘনভাবে পালন করা হয় দিনটি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ উপলক্ষে নানা মজার স্ট্যাটাস, মিম ও আলোচনায় সরব হয়ে ওঠে ব্যবহারকারীরা। অনেকেই এ দিনটিকে মনে করেন ডিজিটাল পরিচ্ছন্নতা অভিযান যেখানে পরিচিতি তালিকায় থাকা অপ্রয়োজনীয় মানুষদের সরিয়ে ফেলার সুযোগ তৈরি হয়।

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার জায়গা। তাই নিজের মানসিক শান্তি ও অনলাইন নিরাপত্তার কথা ভেবে অবাঞ্ছিত মানুষদের সরিয়ে ফেলাই অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

‘আনফ্রেন্ড দিবস’ তাই মনে করিয়ে দেয় অনলাইনে সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখতে নিজের ডিজিটাল পরিসরকে পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি।