বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নারী ধর্ষণের ভুয়া ভিডিও প্রচার

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নারী ধর্ষণের একটি ভুয়া ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি মুসলিম কর্তৃক সংখ্যালঘু নারী ও শিশুদের ধর্ষণে পর হত্যার ঘটনার নয়। এমনকি দৃশ্যটি বাংলাদেশেরও নয় বরং, গত জুলাইয়ে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ধর্মীয় উৎসবে পদদলিত হয়ে শতাধিক নারী ও শিশু নিহতের ঘটনার ভিডিও এটি।  গুজবসৃষ্টিকারী একটি মহল এটিকে ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নারী ধর্ষণের’ ভুয়া ভিডিও হিসেবে ইন্টারনেটে প্রচার করছে। খবর রিউমর স্ক্যানারের। 

রিউমর স্ক্যানার টিম অনুসন্ধান করে দেখেছে, অভিনন্দন কুমার নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত ০৩ জুলাই প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ওই ভিডিওর দৃশ্যের সাথে আলোচিত গুজব প্রচারকারী ভিডিওটির মিল রয়েছে। 

হিন্দি ভাষায় লেখা ভিডিওটির ক্যাপশন ভাষান্তর করে জানা যায়, উত্তর প্রদেশে হাতরাসে যাওয়ার সময় পদদলিত হয়ে ১২২ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। 

আরও অনুসন্ধানে চন্দ্রশেখর নামের একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে গত ০৫ জুলাই প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথেও আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে। অ্যাকাউন্টটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এটি একজন ভারতীয় ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট। 

পরবর্তী অনুসন্ধানে ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এর ওয়েবসাইটে ০৫ জুলাই “Hathras stampede | A litany of lapses” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ০২ জুলাই উত্তর প্রদেশের ফুলরাই গ্রামে হাতরাস অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে অন্তত ১২৩ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে প্রায় সকলেই নারী ও শিশু। একই তথ্যে সে সময় সংবাদ প্রকাশ করে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ১৮ ও হিন্দুস্তান টাইমস। 

রিউমর স্ক্যানার জানায়, ভারতে পদদলিত হয়ে নারী ও শিশু নিহতের দৃশ্যকে ‘বাংলাদেশে মুসলিম কর্তৃক হিন্দু নারী ও শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা’ করার দৃশ্য দাবিতে ভুয়া ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে; যা পুরোপুরি মিথ্যা।