সৌদি আরব পৌঁছেছেন ৭৯৫৫৯ হজযাত্রী, মৃত্যু ১৫

চলতি বছর ৯ মে ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের এয়ারলাইনসের প্রথম হজ ফ্লাইট। শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশ থেকে মোট ২০১টি ফ্লাইটে সৌদি পৌঁছেছেন ৭৯ হাজার ৫৫৯ জন হজযাত্রী। 

সৌদিতে যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৫ হাজার হাজার ২৯৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার গেছেন ৭৪ হাজার ২৬২ জন।

এদিকে পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরব গিয়ে এখন পর্যন্ত ১৫ বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ ও একজন নারী। এর মধ্যে মক্কায় মারা গেছেন এগারো জন ও মদিনায় চারজন।

পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরব গিয়ে এখন পর্যন্ত ১৫ বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে

মঙ্গলবার (১১ জুন) হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স, সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা ও সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্প ডেস্ক।

তথ্যমতে, গত ১৫ মে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা যান। এরপর ২৫ দিনের ব্যবধানে মক্কা ও মদিনার স্থানীয় বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ১৪ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন। সবশেষ ১০ জুন একদিনে গোলাম কুদ্দুস (৫৪) ও শাহাজুদ আলী (৫৫) নামে দুই জন হজযাত্রী মারা গেছেন। এর মধ্যে গোলাম কুদ্দুসের বাড়ি রংপুরের তারাগঞ্জে, শাহাজুদ আলীর বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জে।

মারা যাওয়া অপর হজযাত্রীরা হলেন- নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মো. আসাদুজ্জামান (৫৭), ভোলা জেলার মো. মোস্তফা (৯০), কুড়িগ্রাম জেলার মো. লুৎফর রহমান (৬৫), ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জের মো. মুরতাজুর রহমান (৬৩), চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার মোহাম্মদ ইদ্রিস (৬৪), ঢাকা জেলার কদমতলির মোহাম্মদ শাহজাহান (৪৮), কুমিল্লা জেলার মো. আলী ইমাম ভুঁইয়া (৬৫), কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মো. জামাল উদ্দিন (৬৯), কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার মোহাম্মদ নুরুল আলম (৬১), কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার মাকসুদ আহমদ (৬১), ফরিদপুর জেলার নগরকান্দার মমতাজ বেগম (৬৩), ঢাকার রামপুরার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম (৫৭), গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার মো. সোলাইমান (৭৩)। 

সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে মারা গেলে তার মরদেহ সেখানেই দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তিও গ্রহণ করা হয় না। মক্কায় হজযাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে জানাজা হয়।