আগাম আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

আনিসুর রহমান, ধোবাউড়া, ময়মনসিংহ থেকে:  ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় সোনালি ধানে ছেয়ে গেছে ফসলের মাঠ। আগাম জাতের রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে আনন্দের হাসি। ফসল ঘরে তোলার অপেক্ষায় দিন কাটছে কৃষকদের।

 

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে কিছুটা আতঙ্কিত হলেও তেমন কোন প্রভাব পড়েনি ধানের ওপর। ইতোমধ্যে আগাম জাতের ধান পাকতে শুরু করেছে।

 

উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, সিঙ্গুরা, হাজংপাড়া, দেবাল, তারাইকান্দি, ফুটকাই, দক্ষিণ বাঘবেড় এলাকা আগাম ধান চাষের জন্য উপযোগী। তাদের মতে, এবার ১৩ হাজার ৯৮৫ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড, উফশিসহ বিভিন্ন জাতের রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে।

 

কৃষকরা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা বিঘাপ্রতি ১৮ থেকে ২০ মণ ধান পাবেন বলে আশা করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। এ ছাড়াও বাজারে গবাদিপশুর গো-খাদ্য হিসেবে খড়ের দাম ভালো থাকায় দ্বিগুণ লাভের আশা করছেন চাষিরা। 

 

চার ফসলি জমিতে ধান কাটা শেষে কৃষকরা ব্যাস্ত হয়ে পড়বেন কলাই, সরিষা, ভুট্টা, আলু চাষে। 

 

উপজেলার ফুটকাই গ্রামের  কৃষক আব্দুল মজিদ ও তারাইকান্দি গ্রামের জামাল উদ্দিন বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার ধানের ক্ষেতে তেমন একটা কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়নি। ফলনও ভালো হয়েছে। আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে ধান কাটাই-মাড়াই শুরু হবে। 

 

ধোবাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. গোলাম সারোয়ার তুষার জানান, বিশেষ করে উচ্চ ফলনশীল আগাম জাতের ধান চাষে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। ফলে উচ্চ ফলনশীল আগাম ধান চাষে কৃষকদের তাদের আগ্রহ বেড়েছে। এছাড়াও অন্যান্য জাতের ফলনও ভালো হয়েছে। যা করোনা মহামারিতে আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে। 

 

আগাম ধানের পাশাপাশি সরিষা, ভুট্টা, গমের আবাদ বাড়ছে। এখানকার কিছু নির্দিষ্ট এলাকার মাটি সরিষা, গম, ভুট্টা চাষের উপযোগী। এছাড়াও উপজেলায় পতিত প্রায় ২৪০ হেক্টর জমিতে পুষ্টিবাগান ও লেবুজাতীয় বাগানের কার্ক্রম অব্যাহত আছে।