হিমেল হাওয়ায় সর্বত্রই শীতে জবুথবু অবস্থা। গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। শীতের তীব্রতা বাড়ায় সারাদেশে পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের ক্রেতারা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
হিমালয় কন্যা নামে পরিচিত দেশের উত্তরের জেলাগুলির মধ্যে ঠাকুরগাঁও অন্যতম। গত কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে পুরো জেলা। সূর্যের দেখা মিলছে না বললেই চলে। দুপুরের পর কোনো কোনো দিন সূর্য উঠলেও থাকছে না তীব্রতা। এতে করে সমস্যায় পড়েছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষজন, বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে তেমন বের হচ্ছে না সাধারণ মানুষ। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানকার গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের ভিড়। তবে সুযোগ বুঝে বিক্রেতারা কাপড়ের দামও বেশি চাইছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
গত কয়েক দিনে বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পুরাতন কাপড় বিক্রির ধুম পড়ে গেছে। বিশেষ করে এর সিংহভাগ ক্রেতাই হচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। রিকশা বা ভ্যানচালক ও বিভিন্ন শ্রমিকরা এই কাপড় কিনে নিজেদের উষ্ণ রাখার চেষ্টা করছেন।
গারো পাহাড় সীমান্তাঞ্চলে, বিশেষ করে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদীতে পুরাতন জ্যাকেটসহ শীতের কাপড়ের দোকানগুলোয় এসব ক্রেতাদের এসব গরম কাপড় কিনতে দেখা গেছে ভিড়। পুরাতন কাপড়ের চাহিদা বাড়ায় প্রাণ ফিরে পেয়েছেন পুরাতন গরম কাপড় ব্যবসায়ীরা। আগের চেয়ে বেচাকেনা বেশি হওয়ায় স্বস্তিতে আছেন তারা।
হাফিজুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার কাপড় প্রতি ১০০-১৫০ টাকা দাম বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। কিন্তু আমাদের মতো শ্রমিক ও গরিব মানুষের আয় তো আরও কমেছে। সব পাশেই আমাদের সমস্যা।
পুরাতন গরম কাপড় ব্যবসায়ী রাসেল হাসান জানান, এ বছর ভালো মানের শীতের কাপড়ের দোকান বসেছে। ক্রেতারা উন্নত মানের কাপড় সংগ্রহ করতে পারছেন। এরকম শীত থাকলে বেচাকেনাও আরও বাড়বে বলে আশা করেন তিনি। তবে গতবারের তুলনায় এবার তেমন কাপড়ের দাম বেশি বাড়েনি বলে দাবি তার।
এমন চিত্র দেখা গেছে পাবনার বিভিন্ন অঞ্চলেও, হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। কনকনে ঠান্ডা ও হিমেল হাওয়ায় জনজীবন স্থবির হওয়ার উপক্রম হয়েছে। রাতের দিকে তাপমাত্রা আরও নেমে যাওয়ায় বিপাকে পড়ছে শিশু ও বয়স্ক মানুষেরা। ফলে স্বল্প আয়ের মানুষজন ভিড় করছেন ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে।
বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করলে আমাদের একটু উপকার হতো বলে জানান নিম্ন আয়ের মানুষেরা।