ঢাকার রাস্তায় এবার নামছে গোলাপি রঙের বাস। টিকিট কাউন্টার ভিত্তিতে আব্দুল্লাহপুর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করা ২১টি কোম্পানির বাস চলবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল আলম।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পরীবাগে আব্দুল্লাহপুর থেকে ঢাকা শহরে টিকিট কাউন্টার ভিত্তিতে বাস পরিচালনার উদ্যোগ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
সাইফুল আলম বলেন, ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আব্দুল্লাহপুর হয়ে ঢাকা শহরে ২১টি কোম্পানির বাস টিকিট কাউন্টার ভিত্তিতে চলবে। এই রুটে প্রায় ২ হাজার ৬১০টি বাস চলবে। যাত্রী কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে বাসে উঠবেন। আর সবগুলো বাস একই রঙের (গোলাপি) হবে।
চলতি মাসের মধ্যেই মিরপুর, গাবতলী, মোহাম্মদপুরে চলাচল করা বাস টিকিট কাউন্টারের মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছর সব নিয়ম ভঙ্গ করে ঢাকাতে বাস-মিনিবাস চালকদের দিয়ে কন্টাক্টে গাড়ি চালানো হতো। এতে গাড়ি চলাচলে অসম প্রতিযোগিতা হয়, যত্রতত্র যাত্রী ওঠা-নামা করে। নির্দিষ্ট স্টপিজ ছাড়া যাত্রী ওঠা-নামার কারণে সড়কে বহুলাংশে যানজট, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে।
সাইফুল আলম আরও বলেন, গত বছর ডিসেম্বর ১৯ তারিখে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ, ঢাকা মহানগরে যানজট নিরসন এবং বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, গাড়ির মালিকরা গাড়ি চালকদের সঙ্গে ট্রিপ ভিত্তিক চুক্তি না করে পাক্ষিক এবং মাসিক ভিত্তিতে চুক্তি সম্পাদন করতে হবে।
তিনি বলেন, টিকিট কাউন্টারভিত্তিতে চালকরা গাড়ি চালাবেন। সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে আমরা ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি প্রাথমিকভাবে আব্দুল্লাহপুর হয়ে যে সকল গাড়ি ঢাকা মহানগরীতে চলাচল করে এমন ২১টি পরিবহন কোম্পানির গাড়ি কাউন্টার পদ্ধতিতে পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
তিনি আরও বলেন, এখন থেকে গাড়ি কাউন্টার সিস্টেমে চালাতে হবে এবং যাত্রীদের নির্দিষ্ট কাউন্টার থেকে টিকেট সংগ্রহ করে গাড়িতে যাতায়াত করতে হবে। নির্দিষ্ট স্টপিজ ছাড়া গাড়ি দাঁড় করানো যাবে না এবং যাত্রী উঠানো যাবে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। যাত্রী সাধারণকেও অনুরোধ করা হল।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি এম এ বাতেন, কোষাধ্যক্ষ এ এস এম আহম্মেদ খোকন, দপ্তর সম্পাদক কাজী মো. জোবায়ের মাসুদ প্রমুখ।