জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছে তাদের পরিবারকে সহযোগিতা ও আহতদের পুর্নবাসনের জন্য আলাদা অধিদপ্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হরিহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে খামারি পরিষদ আয়োজিত খামারি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও জানান, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অধীন এ অধিদপ্তর কার্যক্রম পরিচালনা করবে এবং বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা নিশ্চিত করবে। অধিদপ্তরের মাধ্যমে অন্যান্য সরকারি দপ্তরের সাহায্যও নিহত-আহতদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।
এ সময় বিল বাওড়ের ইজারা প্রসঙ্গে প্রকৃত মৎস্যজীবীদেরকে ইজারা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘বিল বাওড় প্রকৃত মৎস্যজীবীদের কাছে ইজারা দিতে হবে। অমৎস্যজীবীদের হাতে বাওড়ের ইজারা দেওয়া যাবে না। তিন মন্ত্রণালয় ইজারা ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছে। আশা করা যায় দ্রুতই এর সমাধান হবে।’
স্থানীয় খামারি তরিকুল ইসলাম তুরকি’র সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান, ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার আহমেদ মারুফ।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল, এলডিডিপি’র প্রকল্প পরিচালক ড. মো. জসিম উদ্দিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. আমিনুল হক, তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ফরিদুল ইসলাম, তানজির আলম রবিন, শৈলকূপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস, শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন বাবর ফিরোজ, শৈলকুপা সম্মিলিত খামারি পরিষদের সদস্য সচিব ওসমান আলী।