ঢাকা
রোববার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

গণঅভ্যুত্থানে ‘শহীদ’ পরিবারকে কোটি টাকা দেওয়ার দাবি

‘কতিপয় সুবিধাবাদী লোক বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে ছিল, এখনো আছে। আমরা যুদ্ধ করেছি, যুদ্ধের ময়দানে সম্মুখসারির যোদ্ধা ছিলাম। যার কারণে আমাদের গুলি লেগেছে। আমরা আহত হয়েছি, আমাদের ভাইরা শহীদ হয়েছেন।’

আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:২১ পিএম

গণঅভুত্থানে ‘শহীদদের’ পরিবারকে এককালীন এক কোটি ও আহতদের ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শহীদ পরিবারগুলো।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা ১২টা থেকে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

কর্মসূচি থেকে আন্দোলনে আহত ও নিহতদের বিষয়ে সরকারের যেকোনো আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে আহত ও শহীদ পরিবারগুলোর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, আহত ও নিহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান, রাষ্ট্রীয় খরচে দেশে-বিদেশে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রয়োজনে আজীবন চিকিৎসার খরচ বহন করা, হত্যকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।

এ ছাড়া আহত ও শহীদ পরিবারগুলোর নিরাপত্তার জন্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, আহতদের পুনর্বাসনে গণঅভ্যুত্থান কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা, চাকরির ব্যবস্থা করা এবং শহীদ পরিবারগুলোকে এককালীন এক কোটি ও আহতদের ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

এ সময় আহত ও শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচির মুখপাত্র পরিচয় দিয়ে আমিনুল ইসলাম ইমন বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘এর আগে আমরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনসহ দুটো সুশৃঙ্খল কর্মসূচি পালন করেছি। আমরা আজকেও এখনো পর্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে কর্মসূচি পালন করে আসছি। আমরা এখানে যারা দাবি-দাওয়া নিয়ে এসেছি, আমাদের প্রত্যেকের পায়ে বেড়ি পড়ানো আছে প্রত্যেকেই আহত।’

তিনি বলেন, ‘কতিপয় সুবিধাবাদী লোক বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে ছিল, এখনো আছে। আমরা যুদ্ধ করেছি, যুদ্ধের ময়দানে সম্মুখসারির যোদ্ধা ছিলাম। যার কারণে আমাদের গুলি লেগেছে। আমরা আহত হয়েছি, আমাদের ভাইরা শহীদ হয়েছেন।’

আহত ও শহীদপরিবারের এ কর্মসূচিকে অন্যদিকে মোড় ঘুরানোর চেষ্টা হচ্ছে জানিয়ে আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দুই-তিন দিন ধরে মিডিয়ায় দেখছি, আমাদের আহত ও শহীদ পরিবারদের কিছু গ্রুপ রয়েছে। সেই গ্রুপের এক শ্রেণি সরকারের আশেপাশে থাকা মোস্তফা সারোয়ার ফারুকীর মতো আওয়ামী লীগের দালালদের ছত্র-ছায়ায় থাকা কিছু লোকজন সম্মুখসারির আহত যোদ্ধা ভাইদের ‘আহত লীগ’ বলে এই কর্মসূচিকে অন্যদিকে মোড় ফেরানোর চেষ্টা করছে।’

অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা এ সরকারেরই একটি অংশ, আমাদের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলবেন না। আমাদের আহত লীগ বলবেন না। আমাদের যারা আহত লীগ বলবেন, তারা নিজেরাই আওয়ামী লীগের দোসরদের মতো আস্তাবলে নিক্ষেপ হবেন।’

MN