বাংলাদেশে গুমের শিকার পরিবারগুলোর ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকার সুরক্ষায় বড় ধরনের পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি জানিয়েছেন, গুম প্রতিরোধে শিগগিরই ‘ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন’ গঠন করা হবে।
শনিবার (১০ মে) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ, ২০২৫’- এর (দ্বিতীয় খসড়া) ওপর এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী, গবেষক এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘ফরহাদ (ফরহাদ মজহার) ভাই বারবার ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশনের কথা বলেছেন। আমি তার সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। আমাদের দেশে ট্রুথ জাস্টিস কমিশন অথবা ট্রুথ রিকনসিলিয়েশন কমিশন থাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের উদ্যোগ যদি ১৯৭২ সাল থেকেই নেওয়া হতো, তাহলে আজ দেশের বিচারব্যবস্থা এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি অনেক সুসংগঠিত হতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই সবকিছু প্রফেশনাল এবং কাঠামোগতভাবে নিষ্পত্তি করতে। গুমের শিকার পরিবারগুলোকে ন্যায়বিচার দিতে আমাদের একটি শক্তিশালী, স্বাধীন ও কার্যকর কমিশন গড়তে হবে।’
আইন উপদেষ্টা স্পষ্টভাবে উল্লেখ্য করে বলেন, ‘আমরা যে আইন তৈরি করছি, তা কেবল একবারের জন্য নয়; আমরা চাই এটি শক্তিশালী ও টেকসই হোক, যেন ভবিষ্যৎ সরকারগুলোও এর কার্যকারিতা রক্ষা করে। সত্যি কথা বলতে, আমরা নিশ্চিত নই যে আগামীতে যারা সরকারে আসবে, তারা গুম প্রতিরোধে কোনো আইন করলেও সেটিকে যথেষ্ট শক্তিশালী করবে কি না।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই কমিশন কেবল আইন প্রণয়ন বা তদন্তের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকবে না; এটি সত্য উদঘাটন, বিচার প্রক্রিয়া এবং পুনর্মিলন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।