জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদে মনোনয়নের মাধ্যমে ২০৪৩ সাল পর্যন্ত ৫০টি সংরক্ষিত আসন বহাল রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করেছে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি। মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি।
সংগঠনের পক্ষে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ড. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, একটি গণতান্ত্রিক, সমতা ভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ইস্যুতে নারী সমাজের দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও দাবিটিকে গুরুত্ব না দিয়ে সকল রাজনৈতিক দল এইরকম একটি পশ্চাৎপদ সিদ্ধান্তে কীভাবে একমত হলো সে বিষয়েও সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি গভীর বিস্ময় প্রকাশ করছে।
তিনি বলেন, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জাতীয় সংসদে সমান অধিকার, সমমর্যাদা ও দায়িত্বের সঙ্গে ফলপ্রসূ এবং কার্যকর ভূমিকা পালন করতে বাংলাদেশের নারীরা এখন প্রস্তুত। তারা নারী ইস্যুতে সরকারের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করার মাধ্যমে নারীর স্বার্থে দৃশ্যমান প্রভাব রাখতেও সক্ষম। সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে আসলে গণতান্ত্রিক চর্চা আরও শক্তিশালী হবে, যা নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণকে আরও বিস্তৃত ও অর্থবহ করে তুলবে।
সব রাজনৈতিক দলকে মনোনয়নের মাধ্যমে ২০৪৩ সাল পর্যন্ত ৫০টি সংরক্ষিত আসন বহাল রাখার ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা এবং একটি গণতান্ত্রিক, সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ইস্যুতে সব রাজনৈতিক দল ও জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে এই কমিটি।