আজ পালিত হচ্ছে ১৫তম আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস। ২০১০ সালে জাতিসংঘের সম্মেলনে গৃহীত সনদ অনুযায়ী ৩০ আগস্ট দিনটি নির্ধারিত হয়। ২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশে পালিত হয়ে আসছে এই দিবসটি। তবে এবার জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের পর দিনটি পালিত হচ্ছে ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে।
দিবসটি উপলক্ষে গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ সহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। তারা গুমের শিকার ব্যক্তিদের খোঁজ ও দায়ীদের বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে আসছেন দীর্ঘ দিন ধরে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিরোধী মত দমনের নামে রাজনীতিক, মানবাধিকারকর্মী ও সাধারণ নাগরিকদের গুমের অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিন ধরে। জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার এসব অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তে উঠে আসছে রোমহর্ষক নানা তথ্য।
তদন্তে গঠিত গুম সংক্রান্ত কমিশনের সদস্য নূর খান লিটন বলেন, গুমে জড়িতদের বড় একটি অংশ ইতোমধ্যেই চিহ্নিত হয়েছে। উদঘাটিত হয়েছে পুরো প্রক্রিয়াটি। ডিসেম্বরের মধ্যেই কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
তিনি আরোও বলেন, এই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে যদি জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা যায়, তবে ভবিষ্যতে কেউ আর গুমে জড়িত হওয়ার সাহস করবে না।
জুলাইয়ের গণ-আন্দোলনের পর বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ সনদে সই করেছে। ইতোমধ্যে গঠিত তদন্ত কমিশন দুটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, গুমের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হলে তা শুধু ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচারই নিশ্চিত করবে না, বরং সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।