ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

র‍্যাব বিলুপ্তিসহ ১০ দফা সুপারিশ অধিকারের

আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০২৫, ০৬:২৮ পিএম

গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অবসান এবং দায়মুক্তির সংস্কৃতি বন্ধে র‌্যাব বিলুপ্তিসহ ১০টি সুপারিশ উত্থাপন করেছে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে গুমের শিকারদের স্মরণে আয়োজিত এক সভায় এসব সুপারিশ উপস্থাপন করেন অধিকারের সিনিয়র রিসার্চার তাকসিম তাহমিনা।

সুপারিশসমূহ

১. সব গুমের ঘটনায় স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত
২. নিখোঁজদের সন্ধানে জাতীয় কৌশল ও নীতিমালা প্রণয়ন
৩. ফিরে আসা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার
৪. ‘Certificate of Absence’ প্রদান ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতকরণ
৫. সাক্ষী ও ভুক্তভোগীদের সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন
৬. সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ বাতিল বা সংশোধন
৭. র‌্যাব বিলুপ্তি
৮. গুমের প্রমাণ নষ্টকারীদের বিচারের আওতায় আনা
৯. দ্রুত ও ন্যায্য বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা
১০. জাতিসংঘের ICPPED বাস্তবায়ন ও ফরেনসিক সক্ষমতা বৃদ্ধি

অধিকার দাবি করেছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সাবেক সরকার কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করে গুমকে রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। সরকারের বিরোধীদের গোপনে আটক, নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ রয়েছে, যা গোপন বন্দিশালায় সংগঠিত হতো।

২০২৫ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গঠিত গুম তদন্ত কমিশনে বিপুল সংখ্যক অভিযোগ জমা পড়ে। ওই কমিশনের প্রতিবেদনে ‘তিন স্তরের পিরামিড’ পদ্ধতির মাধ্যমে গুমের নকশা বাস্তবায়নের কথা বলা হয়। এতে শীর্ষ পর্যায়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম উঠে আসে।

বর্তমানে নতুন করে গুমের ঘটনা না ঘটলেও, অধিকারের দাবি, বিচার প্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীরগতির। তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা না গড়ে উঠলে ভবিষ্যতে গুমের ঘটনা আবারও ঘটতে পারে।

মানবাধিকার সংগঠনটি মনে করে, দীর্ঘ সময় ধরে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার বিচার না হওয়া এবং দোষীদের দায়মুক্তির কারণে  রাষ্ট্রের প্রতি জনগণের আস্থা কমে যাচ্ছে।

DR/MMS
আরও পড়ুন