ডিএসসিসির গাড়ির তেল খরচে দুর্নীতির সত্যতা মিলেছে: দুদক

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) গাড়ির তেল চুরির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ অনুযায়ী, চালক থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই অনিয়মে জড়িত রয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ডিএসসিসি নগর ভবনে অভিযান চালায় দুদক। অভিযোগ রয়েছে, ব্যবহার না হওয়া সরকারি গাড়ির জন্য ভুয়া বিল দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এসব গাড়ির প্রতিদিন ১৪-১৫ লিটার জ্বালানি ব্যবহারের কথা নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যদিও বাস্তবে গাড়িগুলো চলেইনি।

দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম জানান, সরকারি গাড়িগুলি বাস্তবে না চালিয়েও কাগজে কলমে দৈনিক জ্বালানি খরচ দেখানো হয়েছে। এরপর সেই অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ মিলেছে।

এদিন দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট সংশ্লিষ্ট নথিপত্র ও অন্যান্য প্রমাণ সংগ্রহ করে। তদন্তে জানা যায়, যেসব কর্মকর্তা দীর্ঘদিন অফিসে উপস্থিত ছিলেন না, তারাও নিয়মিত জ্বালানি বরাদ্দ নিয়েছেন বলে দেখানো হয়েছে।

ঘটনার পেছনে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। ৪ সেপ্টেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনের কারণে নগর ভবন টানা ৪০ দিন বন্ধ ছিল।

তবে ওই সময়েও ডিএসসিসির গাড়ির তেল খরচ দেখানো হয় প্রতিদিন ১৪-১৫ লিটার করে। যেখানে অধিকাংশ কর্মকর্তা অফিসে উপস্থিত ছিলেন না, সেখানে প্রশ্ন উঠেছে এই তেল গেল কোথায়?

দুদক সূত্র জানায়, তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে শিগগিরই দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ, সম্পদের হিসাব তলব এবং মামলার উদ্যোগ নেওয়া হবে।