নির্বাচন কমিশন (ইসি) আরপিও বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয়ের ওপর ছেড়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমনটা জানিয়েছেন।
আখতার আহমেদ বলেন, উপদেষ্টা পরিষদে এর নীতিগত অনুমোদনের পর বাকি কাজটুকু করে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ডিভিশন। তারা অধ্যাদেশ জারি করেন। কাজেই অধ্যাদেশ জারির বিষয়টি যতক্ষণ না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা অপেক্ষায় আছি।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের এখান থেকে নতুন করে বলার মতো কিছু নেই। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে, আইন মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত অবস্থান জানার পরেই এ বিষয়ে কথা বলা যাবে।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের অগ্রগতি তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি ৭৬ লাখ ১২ হাজার ৩৮৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার ৩৮২। আর মহিলা ভোটার ৬ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৭৭২ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গে ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ২৩০। পুরুষ ও মহিলা ভোটারের সংখ্যাগত পার্থক্য হিসেবে পুরুষ ভোটার বেশি ১৯ লাখ ৯ হাজার ৬১০ জন।
ইসির এই সিনিয়র সচিব বলেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভোটার তালিকায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ১৩ লাখ ৪ হাজার ৮৮০ জন। তবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় আরও কিছু পরিবর্তন আসবে। আগামী ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এর আগে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত নতুন ভোটারদের দাবি-আপত্তির বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করা হবে।