এবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা কঠোর আন্দোলনে নামছেন। বেতন বৈষম্য দূরীকরণ ও নিজেদের পেশাগত মর্যাদা প্রতিষ্ঠাসহ তিন দফা দাবিতে আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) থেকে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
১০ম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের মূল দাবিতে চারটি শিক্ষক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ এ কর্মসূচির আয়োজন করছে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি বলেন, ‘শনিবার শহীদ মিনারে ২০ হাজার শিক্ষক অধিকার আদায়ে অবস্থান নেবেন, যা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলবে।’
খায়রুন নাহার আরও বলেন, দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত আছেন। গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ২৪ এপ্রিল এক আদেশে ১১তম গ্রেডে বেতন পাওয়া প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডে বেতন পাওয়া শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার কথা জানায়। তবে তাতে সন্তুষ্ট নন সহকারী শিক্ষকরা।
ইতোপূর্বে এসব শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডের দাবি জানালেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় এবার সরাসরি দশম গ্রেডের দাবি নিয়ে রাজপথে নামছেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় ধাপে সুপারিশ পাওয়া সহকারী শিক্ষকরা এই আন্দোলন কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়েছেন। সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত এসব শিক্ষকের প্রতিনিধি মো. মহিব উল্লাহ শিক্ষকদের এই আন্দোলন সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের পক্ষে সরকারের কাছে যে ৩টি প্রধান দাবি উত্থাপন করা হয়েছে—দশম গ্রেড প্রদান, ১০ বছর ও ১৬ বছর চাকরি পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান সংক্রান্ত জটিলতা ও সমস্যার স্থায়ী সমাধান ও সহকারী শিক্ষকদের জন্য শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা প্রদান।
দাবিদাওয়ার সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরে শিক্ষক নেতারা বলেন, পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর, সিনিয়র স্টাফ নার্স, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা দশম গ্রেডে বেতন-ভাতা পান। অথচ, সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়েও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বারবার উপেক্ষিত।