‘ফ্যাসিবাদগোষ্ঠী আবারও বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে’

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদ সরকার পালিয়ে গেছে গণমানুষের প্রতিরোধে। গত বছর ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে তাদের উৎখাত হয়েছে। এই পলাতক ফ্যাসিবাদগোষ্ঠী যদি আবারও বিশৃঙ্খলা বা অপরাধ করার চেষ্টা করে, তাহলে জনগণই তাদের প্রতিরোধ করবে।’

শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইজিপি এ কথা বলেন। তিনি এ মন্তব্য করেন এমন সময়ে, যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কিছু ফেসবুক পেজ থেকে আগামী ১৩ নভেম্বর ফ্যাসিবাদের পক্ষ থেকে আন্দোলন বা ব্লকেডের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

আইজিপি বলেন, ‘পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিবাদগোষ্ঠী যদি দেশে আবার বিশৃঙ্খলা বা অপরাধ করার চেষ্টা করে, তাহলে জনগণই তাদের প্রতিরোধ করবে। দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদা সতর্ক রয়েছে। যেসব ফেসবুক পেজ থেকে পলাতক ফ্যাসিবাদগোষ্ঠী অপপ্রচার চালাচ্ছে, সেগুলো নিয়ে গোয়েন্দারা কাজ করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে আইন মান‍্যতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। ৯০ শতাংশ মানুষকে আইন-কানুন মানতে হবে, নিয়মমাফিক চলতে হবে। বাকি ১০ শতাংশ যারা আইন মানবে না, তাদের মোকাবেলায় পুলিশ যথাযথভাবে ব্যবস্থা নেবে।’

সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহার প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, ‘স্বাধীনতা মানে এই নয় যে সামাজিক মাধ‍্যমে কাউকে গালাগাল করা বা কারো রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া। এসব প্রতিরোধে নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তো আছেই।’

আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বাহারুল আলম বলেন, ‘দেশের মানুষ এখন নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। একটি নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনই আমাদের লক্ষ্য। এজন্যই আমরা এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

তিনি জানান, এই প্রথমবারের মতো নির্বাচনের নিরাপত্তা বিষয়ক বিশেষ প্রশিক্ষণ চলছে পুলিশের সদস্যদের জন্য। আইজিপির ভাষায়, ‘নির্বাচন বানচালের চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী যতটুকু যাওয়া দরকার, আমরা ততটুকুই যাব। দেশের ভবিষ্যৎ ও জাতির ভাগ্য এই দায়িত্বের ওপর নির্ভর করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে নিরাপত্তা দায়িত্বে আনুমানিক দেড় লাখ পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। জনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখানো হবে না।’