একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি। একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি। আমাদের হাসিনা খালা (শেখ হাসিনা) গত ৫ আগস্ট সপরিবারে হারিয়ে গেছেন। যদি কোনো সৎ-হৃদয়বান ব্যক্তি তার সন্ধান পান, তবে তাকে হাইকোর্টের ফাঁসির মঞ্চে পৌঁছে দেবেন। একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি। একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি...
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এলাকায় এমনই মাইকিং করতে শোনা যায়। এলাকায় কোনো ব্যক্তি বা শিশু হারিয়ে গেলে যেভাবে মাইকিং করতে শোনা যায়, তারই অনুকরণে আদালত চত্বরে এ মাইকিং করা হয়। শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালত এলাকায় জড়ো হন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। সেখানে সবাই শেখ হাসিনার সাজার রায়ের অপেক্ষায়।
এদিন নাশকতাসহ যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলায় রাজধানীজুড়ে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সকাল থেকে নগরীতে যান চালচল স্বাভাবিক রয়েছে। ব্যক্তিগত যানবাহনের পাশাপাশি গণপরিবহণগুলো চলাচল করতে দেখা গেছে।
এ মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পতিত আওয়ামী লীগের ঘোষিত ‘লকডাউন কর্মসূচির’ কোনো প্রভাব সকাল ১০টা পর্যন্ত রাজধানীতে দেখা যায়নি। এদিন আওয়ামী লীগের কর্মসূচি মোকাবিলায় জামায়াতসহ আটটি ইসলামিক দল মাঠে থাকার কথা জানিয়েছে।
এদিকে, সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ রায় পড়া শুরু হয়। ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণবিক্ষোভে প্রায় এক হাজার ৪০০ মানুষের প্রাণহানি এবং প্রায় ২৫ হাজার মানুষকে মারাত্মক আহত করার অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা হয়। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) আলোচিত এই মামলার রায়ের দিন ধার্য্য করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।