ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। নরসিংদীর মাধবদীতে উৎপত্তি হওয়া ওই কম্পনে সারাদেশে এখন পর্যন্ত ১০ জনের প্রাণহানির তথ্য পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর মাধবদী, যা ঢাকার আগারগাঁওয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিসমিক সেন্টার থেকে ১৩ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থান করছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন এবং বহু স্থাপনায় ফাটল দেখা দিয়েছে।

ঢাকা

পুরান ঢাকার বংশালের কসাইটুলী এলাকায় একটি পাঁচতলা ভবনের রেলিং ভেঙে নিচে পড়ে তিন পথচারী নিহত হন। নিহতদের মধ্যে বাবা–ছেলে হলেন হাজি আব্দুল রহিম (৪৭) ও মেহরাব হোসেন রিমন (১৩)। একই ঘটনায় মায়ের সঙ্গে বাজার করতে গিয়ে নিহত হন সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ৫২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফি। তার মা নুসরাত গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় দেয়াল ধসে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে এবং তার মেয়ে আহত হয়েছেন। এছাড়া একই উপজেলার গোলাকান্দাইল ইসলামবাগ এলাকায় একটি টিনসেড বাড়ির দেয়াল ধসে ফাতেমা (১) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় শিশুটির মা কুলসুম বেগম ও প্রতিবেশী জেসমিন বেগম আহত হন।

নরসিংদীতে বাবা-ছেলেসহ নিহত ৫

নরসিংদীর সদর উপজেলার গাবতলী এলাকায় ভূমিকম্পের সময় বাড়ির সানশেড ভেঙে পড়ে ওমর (১০) নামে এক শিশু প্রাণ হারিয়েছে। একই ঘটনায় ওমরের বাবা দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বলও চিকিৎসাধীন অবস্থা মারা গেছেন। 

ওমরের চাচা জাকির হোসেন বলেন, ভূমিকম্প শুরু হলে দেলোয়ার হোসেন তিন সন্তানকে নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ঠিক তখনই সানশেড ভেঙে পড়ে তাদের ওপর। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে বাবা ও ছেলেকে ঢামেকে আনা হলে চিকিৎসক ওমরকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরে দেলোয়ারও মারা যান।
 
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 অন্যদিকে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার মালিতা গ্রামে ভূমিকম্পে মাটির ঘরের দেয়াল ধসে কাজেম আলী ভূঁইয়া (৭৫) নামে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। এছাড়া কাজীরচর নয়াপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে নাসির উদ্দিন (৬৫) এবং শিবপুরের জয়নগর ইউনিয়নের আজকীতলা গ্রামের ফোরকান মিয়াও (৪৫) ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছেন।