অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনটি শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের জন্য ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। আসনটিতে বিএনপির সমর্থন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব। তবে এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তবে মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র পদে লড়াই করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
দলের মনোনয়ন না পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ইনশাল্লাহ সবার দোয়ায় আমি নির্বাচন করব। আগামীকাল অথবা পরশু মনোনয়ন ফরম কিনব। এতো বড় দল (বিএনপি) তাদের নিজস্ব ভালো-মন্দ বুঝতে হয়। যেহেতু জমিয়তে উলামায়ের সঙ্গে তারা জোট করেছে, আসন না দিলে কেমন করে জোট হবে! দল বাধ্য হয়ে আসন দিয়েছে।
স্বতন্ত্র ভোট করলে দল ব্যবস্থা নেবে কিনা- জানতে চাইলে রুমিন ফারহানা বলেন, যদি ব্যবস্থা নিতে হয় ওনারা নিশ্চই নেবেন৷ আমি তো আসলে বাধা দিতে পারব না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ব্যাপক আলোচনায় ছিলেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার মনোনয়ন। গত ৩ নভেম্বর ২৩৭ আসনে বিএনপি প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে। সেই তালিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে কারো নাম ঘোষণা করেনি বিএনপি। এরপর থেকেই বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় এই আসনটিতে প্রার্থী দেয়া হচ্ছে জোটের জুনায়েদ আল হাবীবকে। তবে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বন্ধ রাখেননি তার নির্বাচনি প্রচার প্রচারণা। বিভিন্ন সভা সমাবেশে দলের মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা এবং বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ও চান্দুরা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে রুমিন ফারহানা ছাড়াও অন্তত অর্ধডজন সম্ভাব্য প্রার্থী বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তবে বিগত কয়েকটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি তাদের শরিক দলের জন্য আসনটি ছেড়ে দেয়।
এ আসনে বর্তমানে জোটের প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন জুনায়েদ আল হাবিব। এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আমির মোবারক হোসাইন আকন্দ, জাতীয় পার্টির সাবেক দুইবারের সংসদ সদস্য এবং সদ্য জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) থেকে মনোনয়ন পাওয়া অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীদের উপস্থিতিতে আসনটি চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
প্রসঙ্গত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটি বর্তমানে সরাইল, আশুগঞ্জ ও বিজয়নগর উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৪৪৮ জন।