বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘সবাই মিলে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলবো আমরা, যা একজন মা দেখেন। অর্থাৎ একটি নিরাপদ বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই। যে বাংলাদেশে একজন মানুষ নিরাপদে ঘর থেকে বের হতে পারে ও ঘরে ফিরে আসতে পারে।’
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ৩০০ ফিট সড়কের গণসংবর্ধনা মঞ্চে এ কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল।’
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে তিনি রাজধানীর পূর্বাচল সংলগ্ন ৩০০ ফিট সড়কের ‘৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে’তে আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনা মঞ্চে উপস্থিত হন। বিকেল ৪টায় তিনি উপস্থিত লাখো জনতার উদ্দেশে তার বহুল প্রতীক্ষিত ভাষণ শুরু করেন।
এর আগে, যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে রওনা হয়ে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে তারেক রহমানকে বহনকারী উড়োজাহাজটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে কিছু সময় যাত্রাবিরতি নিয়ে বেলা ১১টা ১২ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
তারেক রহমানকে বহনকারী বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিজি-২০২ ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। প্রায় ১৭ বছর পর তারেক রহমানের দেশে ফেরার এ যাত্রায় তার সঙ্গে আছেন স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান।
বিএনপি মিডিয়া সেলের অন্যতম সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিমানবন্দর থেকে তারেক রহমান লাল ও সবুজ রঙে সজ্জিত একটি বিশেষ বুলেটপ্রুফ বাসে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। বাসটিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতিকৃতি এবং ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ স্লোগান রয়েছে। পথে তিনি একটি সংবর্ধনা কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
এ উপলক্ষে বিএনপি ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে, যা ৩০০ ফিট সড়ক নামে পরিচিত, সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে তারেক রহমান দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাবেন, ধন্যবাদ জানাবেন এবং মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করবেন। এরপর তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। সেখান থেকে পরে তিনি গুলশান অ্যাভিনিউয়ে মা খালেদা জিয়ার বাসভবনে ফিরোজার পাশের ১৯৬ নম্বর বাসায় যাবেন।
২০০৭ সালে ১/১১ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তারেক রহমান গ্রেপ্তার হন। এক বছর কারাভোগের পর ২০০৮ সালে তিনি মুক্তি পান এবং চিকিৎসার জন্য স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে লন্ডনে যান। এরপর থেকে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা লন্ডনে নির্বাসিত জীবনযাপন করে আসছিলেন।
এদিকে, দেশের আকাশসীমায় প্রবেশের পর তারেক রহমান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্ট লেখেন, ‘দীর্ঘ ৬ হাজার ৩১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে!’