ঢাকা–৯ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে স্বাক্ষর সংগ্রহ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তাসনিম জারা। রোববার সারাদিন স্বাক্ষর সংগ্রহ শেষে রাতে বাসায় ফেরেন তিনি। এক দিনেই প্রায় তিন হাজার ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহ হয়েছে, এখনও প্রার্থী হতে প্রয়োজন আরও দেড় হাজার ভোটারের স্বাক্ষর।
রোববার দিবাগত রাত ১২টা ৪২ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তাসনিম জারা এ তথ্য জানান। পোস্টে তিনি লেখেন, সারাদিন সাক্ষর গ্রহণ শেষে মাত্র বাসায় ফিরলাম। আরও ১৫০০ সাক্ষর প্রয়োজন। আগেই বলেছিলাম এত অল্প সময়ে ৫০০০ সাক্ষর সংগ্রহ করা প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার। তবে আপাদের সহযোগিতায় সেটা সম্ভব হওয়ার পথে।
ফেসবুক পোস্টে তাসনিম জারা জানান, সোমবার সকাল ৭টা থেকে আবারও বুথে স্বাক্ষর সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হবে। দুপুর ১২টার মধ্যেই প্রয়োজনীয় স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে হবে। তা না হলে এই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া সম্ভব হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি ভোটারদের স্বাক্ষর দিতে অনুরোধ জানিয়ে বুথের ঠিকানা উল্লেখ করেন। বুথ দুটি হলো- খিলগাঁও তালতলা মার্কেট সংলগ্ন ন্যাশনাল আইডিয়াল কলেজের বিপরীতে একটি বুথ এবং বাসাবো বালুর মাঠ, সবুজবাগ এলাকায় আরেকটি বুথ।
এছাড়া স্বেচ্ছাসেবকেরা বাসায় বাসায় গিয়ে স্বাক্ষর সংগ্রহ করছেন বলেও জানান তাসনিম জারা।
ফেসবুক পোস্টে তিনি স্বাক্ষর দেওয়ার প্রক্রিয়াও বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। এতে বলা হয়, নির্ধারিত ফরমটি প্রিন্ট করে অথবা বুথ থেকে সংগ্রহ করে প্রথম পৃষ্ঠায় নাম, ঠিকানা ও স্বাক্ষর দিতে হবে। তবে ক্রমিক নম্বর ও ভোটার নম্বরের ঘর ফাঁকা রাখতে হবে, অন্যথায় ফরম বাতিল হয়ে যাবে। দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় একই ব্যক্তির নাম পুনরায় লিখে ভোটার আইডি নম্বর দিতে হবে। পূরণ করা ফরম যে কোনো বুথে জমা দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
গত ২৭ ডিসেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে পদত্যাগের পর ঢাকা–৯ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন তাসনিম জারা। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এনসিপির নির্বাচনী সমঝোতার প্রেক্ষাপটে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন। প্রার্থী হওয়ার জন্য তার নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর প্রয়োজন। এই সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার।