যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আসছেন আজ। ডোনাল্ড লু দেশে আসা নিয়ে রাজনীতি বেশ সরগরম। তার এই ঢাকা সফর যথেষ্ট আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সরকারি ও বিরোধী দলীয় নেতাদের মধ্যে এ নিয়ে তীর্যক 'বাকযুদ্ধও' চলছে।
লু’র ঢাকা সফর নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তিনি আসবেন। বিএনপি মনে করেছে, আবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেবে কি না। এই ধরনের উদ্ভট চিন্তা করছে। এ রকম উদ্ভট চিন্তা তারা আগেও করেছিল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায় বলেছেন, নির্বাচনের দেশের জনগণের চেয়ে বিদেশিদের কাছেই বেশি গেছে বিএনপি। কারণ জনগণের মাঝে তাদের ভিত্তি নেই। বিএনপি বিভিন্ন দূতাবাসে রাত-বিরাতে ধর্ণা দিয়েছে। কিন্তু দেশে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হওয়া এবং বর্তমান সরকারের সাথে কাজ করার ঘোষণা দেওয়ায় বিএনপির মোহভঙ্গ হয়েছে। তাই প্রকাশ্যে লু’র সফর নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছেনা বিএনপির নেতারা।
আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন তীর্যক মন্তব্যের জেরে অবশ্য বসে নেই বিএনপির নেতারা। কড়া জবাব দিতে একটুও কুণ্ঠা করেন নি তারা।
লু’র ঢাকা সফর নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই।
যদিও নির্বাচনের আগে লু’র ঢাকা সফর নিয়ে সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত ছিলেন বিএনপির নেতারা।
তবে এবার দলটির মহাসচিব সুর পাল্টে বলছেন, ‘কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথাঘামানোর সময় নেই।
মির্জা ফখরুল বলছেন তার দলের প্রধান শক্তি হলো জনগণ।’
ডোনাল্ড লু’র বৈঠকের চেষ্টা করেছিলেন কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, আমরা (বিএনপি) তার সঙ্গে কোনো বৈঠকের চেষ্টা করি নাই।
লু’র ঢাকায় আসাটা গুরুত্বপূর্ণ নয় উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র আসা-না আসায় কিছু যায়-আসে না। লু তো অনেক দূরের কথা। আমরা শঙ্কিত দেশের অবস্থা নিয়ে।
চীনা বংশোদ্ভূত আমেরিকান ডোনাল্ড লু ২০২১ সাল থেকে পররাষ্ট্র দপ্তরে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। তার আগে তিনি কিরগিজস্তানে ও আলবেনিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ফরেইন সার্ভিসে যোগ দেওয়ার পর লু পাকিস্তানে এবং ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের মিশনেও কাজ করেছিলেন। পাকিস্তানে দুই বছর আগে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে উৎখাতের ক্ষেত্রে লু’র বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল।