অচিরেই নির্বাচনী রোডম্যাপে যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ: তারেক রহমান 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘সব অস্পষ্টতা কাটিয়ে অচিরেই নির্বাচনী রোডম্যাপে যাত্রা শুরু করবে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ।’

তিনি বলেন, ‘এ যাত্রায় আপনাদের সঙ্গী হচ্ছে এ দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ। সুতরাং আপনারা জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণকে সঙ্গে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন।’

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিজয় দিবসের আলোচনায় দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেন তারেক রহমান। এ সময় দলের সিনিয়র নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান প্রমুখ।

তারেক রহমান বলেন, ‘লাখো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত গৌরবময় এ বিজয়ের ৫৪তম বার্ষিকীতে স্বাধীনতাকামী জনগণকে জানাই বিজয়ের আন্তরিক শুভেচ্ছা। স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগ করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধা। সাম্য, মানবিক মর্যাদা, মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৭১ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘জনগণের স্বাধীনতা রক্ষা, ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশে এবারের বিজয় দিবস অনেক গৌরবের, অনেক বেশি অর্থবহ ও তাৎপর্যপূর্ণ। আমি বিশ্বাস করি, আগামীতে স্বাধীনতা দিবস শুধু উদযাপনের মধ্য দিয়ে সীমাবদ্ধ থাকবে না, রাখা যাবে না। তা হবে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার দিন। ’

তারেক রহমান আরো বলেন, ‘রাষ্ট্র ও জনগণকে শক্তিশালী করতে হলে গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে জনগণ। জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দ্বারা সরকার গঠিত হলে, জবাবদিহি কার্যকর থাকলে জনগণের অধিকার নিশ্চিত থাকে।’ 

সংস্কারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কী করতে চাইছেন? রাষ্ট্র ও সমাজ মেরামত করতে কত সময় প্রয়োজন, সেটি জানার অধিকার জনগণের রয়েছে। সরকার আগামী দিনের রোডম্যাপ ঘোষণা করলে এটা একদিকে জনগণের কাছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাকে নিশ্চিত করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘লাখো জনতার রক্তের ওপর দিয়ে একটি ঐক্য হয়েছে। আমাদেরকে একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ, মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিএনপির মধ্যে ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্যপূরণে প্রতিটি নাগরিককে দায়িত্ব নিতে হবে।’