দলগুলোর পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধে দেশ হবে অনবদ্য: সারজিস

‘বড় রাজনৈতিক দলগুলো যদি ছোট দলকে এগিয়ে যেত না দেয়, তবে ধীরে ধীরে তারা স্বৈরাচারে পরিণত হবে’ -- এমন মন্তব্য করেছেন নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্ট’র (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হিসেবে সারজিস আলম।

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুরোধ করি ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালানোর পর যে স্বপ্ন দেখেছিলাম তা যেন ঐক্যবদ্ধ থেকে পূর্ণ করতে পারি। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ (মিউচুয়াল রেসপেক্ট) থাকলে দেশ হবে অনবদ্য।’ 

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশ হবে ঐক্যের বাংলাদেশ। হাসিনা এদেশের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংগঠিত করতে হবে।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের এই মুখ্য সংগঠক বলেন, ‘হাসিনা পুলিশকে খুনি বানিয়েছে। তারা যেন কাজের মাধ্যমে তার গৌরব ফিরিয়ে আনে সে প্রত্যাশা থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যেন কোনো অপরাধীর জন্য সুপারিশ নিয়ে থানা কিংবা বিচারকের কাছে না যাই। খুনি হাসিনার বিচার ঐক্যবদ্ধভাবে করতে হবে।’

এ সময় সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সারজিস আরও বলেন, ‘আপনারা হাত পেতে জনগণের কাছ থেকে ঘুষ নেবেন না। প্রতিষ্ঠান সংস্কার সব রাজনৈতিক দলগুলো মিলে করতে হবে।’ 

তিনি বলেন, যে যোগ্য সে জন্য সেসব পদে বসে, কোনো মাই ম্যান না।

এর আগে, বিকেল সোয়া ৪টায় তরুণ প্রজন্মের নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান শুরু হয়। শুরুতে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা হয়। এরপর পবিত্র গীতা, ত্রিপিটক ও বাইবেল থেকে পাঠ করা হয়। পরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।

এরপর জুলাই আগস্টে নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং নিজ নিজ ধর্মমতে তাদের জন্য দোয়া করা হয়।

এদিকে, নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং দলের যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির আহমেদ আলী কাসেমী, বিকল্পধারার নেতা মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমেদ, লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামী ঐক্য জোটের সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন, বিএলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, রাজনৈতিক দলের নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছেন।