নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক সংকট তৈরির শঙ্কা!

জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণ বিএনপিকে 'ক্ষুব্ধ' করেছে এবং পাশাপাশি দলটি মনে করে 'নির্বাচনকে বিলম্বিত করার সুযোগ তৈরির জন্যই এপ্রিল মাসে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। ড. ইউনূস শুক্রবার (৬ জুন) সন্ধ্যার ওই ভাষণে 'শব্দ চয়নে রাজনৈতিক ভব্যতার সীমা অতিক্রম' করেছেন এবং এক 'বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠীর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন'- এমন অভিযোগ তুলেছে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি। খবর: বিবিসি বাংলা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা  নির্বাচনের যে সময় দিয়েছেন সেটি 'বাস্তবতার নিরিখেই' তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। গণতন্ত্রে উত্তরণ বিলম্বিত হলে সংকট ক্রমশেই ঘনীভূত হবে। বলা যায়, প্রধান উপদেষ্টা ও তার উপদেষ্টামণ্ডলী নিরপেক্ষ চরিত্র হারিয়েছেন। এপ্রিল মাস কোনোভাবেই নির্বাচন আয়োজনের জন্য যথাযথ সময় নয়।

তবে জামায়াতে ইসলামীসহ আরও কিছু রাজনৈতিক দল এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। আবার কিছু দল মনে করছে ‘নির্বাচনের অন্তত একটা সময় যে সরকার জানিয়েছে’ এটিই তাদের কাছে বড় স্বস্তির বিষয়।

বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করছেন, নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে বিএনপি ও সেনাপ্রধানের বক্তব্যের বিপরীতে 'জামায়াতের পরামর্শ' গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে ড. ইউনূস বোঝাতে চেয়েছেন যে, তিনি চাপের মুখে কিছু মেনে নেবেন না। ‘নির্বাচনের জন্য এপ্রিলকে বেছে নেওয়ার মধ্যে একটা জিদের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ওরা চাইলো কেন, তাই দেবো না- মনে হয়ে এই ইগো থেকেই সংখ্যাগরিষ্ঠ দলগুলোর মতকে উপেক্ষা করা হয়েছে,’ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফুল আলম চৌধুরী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই আরেকজন শিক্ষক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলছেন, নির্বাচন কেন ডিসেম্বরের মধ্যে করা যাবে না কিংবা এপ্রিলে হলে জাতির কী কী সুবিধা হবে-সেটি প্রধান উপদেষ্টা পরিষ্কার করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা