চুপ্পুর কাছ থেকে জুলাই সনদ নেওয়ার চেয়ে নদীতে ডুবে মরা ভালো: হাসনাত

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর কাছ থেকে জুলাই সনদ নেওয়ার চেয়ে নদীতে ডুবে মরা ভালো বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
 
শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে ভোলা জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এনসিপির সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
 
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর থেকে জুলাই সনদ নেওয়ার বিষয়টি যদি ২৪’র গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদ পরিবার বা আহতরা জানতে পারে, তারা আত্মহত্যা করবে। তার চেয়ে নদীতে ডুবে মরা ভালো হবে। জুলাই সনদ এই সরকারকেই বাস্তবায়ন করতে হবে।
 
তিনি আরও বলেন, এনসিপি জনগণের চাহিদা ও প্রত্যাশা পূরণে কাজ করছে। জনগণের আকাঙ্ক্ষা থেকেই শাপলা মার্কার জনপ্রিয়তা বেড়েছে। ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া প্রতিটি মানুষই চায় এনসিপির মার্কা শাপলা হোক। তাই আগামী নির্বাচনে শাপলার কলি নয়, পুরো শাপলাই এনসিপির প্রতীক হতে হবে।
এনসিপির এই নেতা বলেন, সংবিধানিক দুর্বলতা নিরসনে যারা এনসিপির নীতির সঙ্গে একমত, তাদের সঙ্গে এনপিপির জোট হতে পারে। সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করতেই জেলা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
 
ভোলার চিকিৎসা সংকট, ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ এবং গ্যাস সম্পদ নিয়ে স্থানীয় দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ভোলাবাসীর দাবিগুলো যৌক্তিক। এসব দাবি আদায়ে রাজপথের আন্দোলনে পাশে থাকবে এনসিপি।
 
এ সময় ভোলায় বিএনপি ও বিজেপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিএনপির পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন আন্দালিব রহমান পার্থ। তার কর্মীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তিনি রাজনৈতিক মাঠে পেশিশক্তির ব্যবহার থেকে সরে আসার আহ্বানও জানান।
 
 
সভায় উপস্থিত ছিলেন- এনসিপির বরিশাল বিভাগীয় সম্পাদক এডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন, দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আলম মিতু, কেন্দ্রীয় সংগঠক মো. আবদুল্লাহ ফয়সাল মামুনসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।