প্রশাসনে রদবদল ‘অদৃশ্য পরিকল্পনার’ অংশ: পরওয়ার

জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে সাম্প্রতিক ধারাবাহিক রদবদলকে ‘অদৃশ্য কোনো পরিকল্পনার’ অংশ বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং অন্যান্য চার নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘গত এক মাসে জনপ্রশাসন ও পুলিশে একের পর এক হঠাৎ রদবদল হয়েছে। ২০ দিন হয়নি একজন ডিসিকে সরানো হয়েছে, আবার এক সপ্তাহের ব্যবধানে অনেকে বদলি হয়েছেন। এতে মনে হয়, কোনো উদ্দেশ্য বা পরিকল্পনা থেকেই এসব ঘটছে।’

তিনি বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর প্রশাসনের রদবদল ইসির এখতিয়ার। তাই নির্বাচনকে নিরপেক্ষ রাখতে লটারির মাধ্যমে পদায়ন সবচেয়ে নিঃপেক্ষ পদ্ধতি হতে পারে।’

তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘এই রদবদল কি কোনো পরিকল্পনার অংশ? কেউ করছেন, নাকি কেউ জানেনই না?’

তিনি আরও মনে করিয়ে দেন যে, অতীতের কিছু ইসিতে তফসিল ঘোষণার পর একদিনেই ডিসি এসপি বদলির নজির রয়েছে।

জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি জুলাই সনদভিত্তিক গণভোটের ঘোষণাকে ‘গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল’ উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘একই দিনে দুই ভোট হলে সাধারণ ভোটার বিভ্রান্ত হতে পারেন। তাই আমাদের মত গণভোট আগে হওয়া উচিত।’ 

প্রবাসী ভোট নিয়েও প্রশ্ন তোলেন জামায়াত নেতার। এনআইডি জটিলতার কারণে যারা নিবন্ধন করতে পারছেন না, তাদের পাসপোর্টের ভিত্তিতে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সুযোগ বিবেচনা করার প্রস্তাব দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত ইতিবাচক হবে। সন্ত্রাস, বাধা ও নাশকতা ঠেকাতে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিই ভোটারকে সাহসী করে তুলবে।’

সংলাপে অংশ নিয়ে জামায়াত নির্বাচনের স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা এবং প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে ইসির প্রতি একাধিক প্রস্তাব তুলে ধরে।