মিথ্যা বলা মহাপাপ। আর তাই মিথ্যাকে সব পাপের জননী বলা হয়। একটি মিথ্যা থেকে সূত্রপাত হয় শতশত পাপের। তাই খুব সাধারণ বিষয়েও মিথ্যা কথা বলা একদমই ঠিক নয়। এতে যে কেউ ধীরে ধীরে মিথ্যা বলায় অভ্যস্ত হয়ে যায়।
মিথ্যাবাদীদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন, ‘নিশ্চয় তারাই মিথ্যা আরোপ করে যারা আল্লাহর নিদর্শনসমূহে বিশ্বাস করে না এবং প্রকৃতপক্ষে তারাই হল মিথ্যাবাদী (সূরা নাহল: ১০৫)।’
পবিত্র রমজান মাস নেক আমল করার উপযুক্ত সময়। বরকতময় এই মাসে নেক আমল করলে যেমন বেশি সওয়াব পাওয়া যায় তেমনি গুনাহ হয় এমন কাজের জন্য শাস্তির পরিমাণও বেশি। যেহেতু মিথ্যা বলা কুৎসিত এবং তা বর্জনীয়। তাই মিথ্যা বলা থেকে প্রত্যেকের উচিত নিজেকে রক্ষা করা।
রোজা অবস্থায় মিথ্যা বললে যা হবে এই প্রতিবেদনে খবর সংযোগের পাঠকদের জন্য তা তুলে ধলা হলো-
রোজা রেখে সব ধরেন অন্যায় কাজ এবং মিথ্যা থেকে বিরত থাকা জরুরি। রোজা অবস্থায় মিথ্যা বলার কারণে রোজা মাকরূহ হয়ে যায়। এই রোজার জন্য আল্লাহ কোনো সওয়াব দেবেন না।
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা বলা ও সে অনুযায়ী আমল বর্জন করেনি, তার এ পানাহার পরিত্যাগ (রোজা) করা আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৯০৩)
ফলে রোজা অবস্থায় মিথ্যা কথা বলাই যাবে না এবং সেই সাথে যাবতীয় অন্যায়মূলক কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।