রমজানে নবীজি যে দোয়া বেশি বেশি পড়তে বলেছেন 

আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৫, ১১:১২ পিএম

দোয়া একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। বান্দা আল্লাহর নিকট দোয়া না করলে আল্লাহ রাগান্বিত হন। তিনি বান্দার ডাকে সর্বদা সাড়া দেন। আল্লাহ কোরআনে বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। (সুরা মুমিন:৬০)

রমজানে নবীজির বিশেষ দোয়া

হযরত সালমান (রা.) বলেন, একবার নবী কারিম (স.) শাবান মাসের শেষদিন ভাষণ দেন। সেই ভাষণে তিনি বলেন, ‘তোমরা রমজান মাসে চারটি কাজ খুব বেশি করে করবে। দুটি কাজ দ্বারা তোমাদের প্রভুকে সন্তুষ্ট করতে পারবে। আর দুটি কাজ না করে তোমাদের রক্ষা নেই। যে দুটি কাজ দ্বারা তোমরা প্রভুকে সন্তুষ্ট করতে পারবে তা হলো- তোমরা আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষ্য দিতে থাকবে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে। যে দুটি কাজ না করে তোমাদের রক্ষা নেই তা হলো- তোমরা জান্নাত প্রার্থনা করবে এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি কামনা করবে।’ (সহিহ ইবনে খুজাইমা: ১৮৮৭)

উপরোক্ত হাদিসের ভিত্তিতে চারটি দোয়া হলো—
১) أشهد أن لا إله إلا الله ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ অর্থ: আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত আর কেউ নেই।
২) أستغفر الله ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে মাফ চাই।
৩) أسألك الجنة ‘আসআলুকাল জান্নাহ’ অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে জান্নাত চাই।
৪) أعوذ بك من النار ‘আউজু বিকা মিনান নার’ অর্থ: আমি তোমার কাছে জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাই।

এই দোয়ার বাক্যগুলো মিলিয়ে একত্রেও পড়া যাবে, আবার ইচ্ছে করলে আলাদা আলাদাও পড়া যাবে। 


হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন, তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়। যদি সে তাড়াহুড়া না করে আর বলে যে, আমি দোয়া করলাম, কিন্তু আমার দোয়া তো কবুল হলো না। (বুখারি ৬৩৪০)
 

হাদিসে এসেছে, হযরত জাবির (রা.) বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, কোনো ব্যক্তি (আল্লাহর কাছে) কোনো কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআলা তাকে তা দান করেন। অথবা তদানুযায়ী তার থেকে কোনো অমঙ্গল প্রতিহত করেন। যতক্ষণ না সে কোনো পাপাচারে লিপ্ত হয় বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য দোয়া করে। (তিরমিজি)

রসুল (সা.) বলেছেন, যদি কেউ চায় যে বিপদের সময় তার দোয়া কবুল হোক, তাহলে সে যেন সুখের দিনগুলোতে বেশি বেশি দোয়া করে (তিরমিজি ৩৩৮২)।
 

AA