কোরবানি একটি বিশেষ ইবাদত। ১০ জিলহজ ফজরের পর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কারও কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলেই তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব।
যে ব্যক্তি কোরবানি দেবে তার জন্য জিলহজ মাসের চাঁদ ওঠার পর থেকে কোরবানি করার আগ পর্যন্ত শরীরের পশম, চুল ও নখ ইত্যাদি কাটা থেকে বিরত থাকা মুস্তাহাব।
হজরত উম্মে সালামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, তিনি বলেন, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যখন (জিলহজ মাসের) প্রথম দশক শুরু হয় এবং তোমাদের কেউ কোরবানি করার ইচ্ছা রাখে, সে যেন তার চুল ও শরীরের কোনো অংশ স্পর্শ না করে (না কাটে)। (মুসলিম: ১৯৭৭)
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন, যে ব্যক্তি জিলহজের নতুন চাঁদ দেখেছে এবং কোরবানির নিয়ত করেছে সে যেন নিজের চুল ও নখ (কোরবানির পূর্ব পর্যন্ত) না কাটে। (তিরমিজি: ১৫২৩; ইবনে মাজাহ: ৩১৪৯)
তবে এই মুস্তাহাব হুকুম তাদের জন্য প্রযোজ্য, যারা এর ওপর আমল করলে নখ কাটা ও নাভির নিচের পশম পরিষ্কারের মেয়াদ ৪০ দিন অতিক্রম করবে না। কিন্তু এর ওপর আমল করতে গিয়ে যদি ৪০ দিন অতিক্রান্ত হয়ে যায় তবে সেক্ষেত্রে ৪০ দিনের ভেতরে অবশ্যই তা পরিষ্কার করে নেবে।
হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, তিনি বলেন, গোঁফ ছাঁটা, নখ কাটা এবং বগলের লোম উপড়ে ফেলা এবং নাভির নিচের লোম ছেঁটে ফেলার জন্য আমাদের সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছিল যে, আমরা তা ৪০ দিনের অধিক দেরি না করি। (মুসলিম: ৪৮৭)
কোরবানিদাতা নিজের কোরবানি সম্পন্ন হওয়ার পর চুল-নখ ইত্যাদি কাটবেন। কেননা হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু ওয়াসাল্লাম বলেন, যার কোরবানির পশু রয়েছে, সে যেন জিলহজ মাসের নতুন চাঁদ ওঠার পর থেকে কোরবানি করার পূর্ব পর্যন্ত তার চুল ও নখ না কাটে। (আবু দাউদ: ২৭৯১)