ইতিহাস, ঐতিহ্যের ভূমি ফিলিস্তিন। এই ভূমির সঙ্গে জড়িয়ে আছে নবী-রাসুলদের ইতিহাস ও স্মৃতি। মুসলিম বিশ্বের কাছে বিশেষ গুরুত্ববহন করে ফিলিস্তিন ভূমি। ফিলিস্তিনের সঙ্গে মুসলিমদের গভীর সম্পর্কের পাঁচটি কারণ তুলে ধরা হলো এখানে—
১. নবীদের উত্তরাধিকার
ফিলিস্তিনের ভূমিতে অনেক নবীর আগমন ঘটেছে। নবী ঈসা (আ.), সুলায়মান (আ.), ইবরাহিম (আ.) এবং ইসহাক (আ.)—এই মহান নবীগণ ফিলিস্তিনে বসবাস করেছেন এবং সেখানেই তাদের বিভিন্ন ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।
এছাড়াও, নবী ইয়াকুব (আ.)-এর কবরও এই পবিত্র ভূমিতেই অবস্থিত। নবী মুসা (আ.) ফেরআউনের শাসন থেকে বনী ইসরঈলকে মুক্ত করে ফিলিস্তিনে নিয়ে গেছেন।
২. ইসলামের প্রথম কিবলা
মসজিদুল আকসা ছিল ইসলামের প্রথম কিবলা। নবুয়তের শুরুর সময়ে নবী মুহাম্মদ (সা.) ও তার সাহাবিরা বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করতেন। পরবর্তীতে আল্লাহর আদেশক্রমে কিবলা পরিবর্তন হয়ে মসজিদুল হারামের দিকে নির্ধারণ করা হয়।
৩. মিরাজের পবিত্র স্থান
নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর অলৌকিক মিরাজ সফর মক্কা থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত মাত্র কয়েক মিনিটে সম্পন্ন হয়েছিল। তিনি সেখানে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। এরপর আল্লাহ তাকে আসমানের পথে নিয়ে যান।
৪. কোরআনে পবিত্র ভূমি বলে সম্বোধন
আল-কোরআনে আল্লাহ ফিলিস্তিনকে ‘পবিত্র ভূমি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বর্ণিত হয়েছে, হে আমার সম্প্রদায়! আল্লাহ তোমাদের জন্য যে পবিত্র ভূমি লিখে দিয়েছেন তাতে তোমরা প্রবেশ কর এবং পশ্চাদপসরণ করো না, করলে তোমরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে প্রত্যাবর্তন করবে। (সুরা মায়েদা, আয়াত :২১)।
এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ফিলিস্তিন ভূমিকে পবিত্র বলে সম্বোধন করেছেন এবং মুসা (আ.) ও তার জাতিকে এই ভূখণ্ডে প্রবেশ করার নির্দেশ দেন।
৫. ঈসা (আ.) ও ইমাম মাহদির আগমন
কিয়ামতের আগে পৃথিবীতে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্য আবির্ভূত হবেন ইমাম মাহদি। তখন তিনি ফিলিস্তিন ভূখন্ডে আগমন করবেন।
সহীহ মুসলিম অনুযায়ী, ঈসা (আ.)ও আকাশ থেকে ফিলিস্তিনেই অবতরণ করবেন এবং ইমাম মাহদির সাথে একত্রে নামাজ আদায় করবেন।