ইসলামের দৃষ্টিতে সূর্যগ্রহণের কারণ কী

২০২৫ সালের শেষ সূর্যগ্রহণ আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) হতে যাচ্ছে। সূর্যগ্রহণ বা কুসুফ হলো আল্লাহর নির্ধারিত একটি প্রাকৃতিক ঘটনা। চাঁদ যখন পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে অস্থায়ীভাবে অবস্থান করে, তখন পৃথিবীর কোনো দর্শকের কাছে সূর্য আংশিক বা সম্পূর্ণ অদৃশ্য হয়ে যায়।

মুফতি আবদুল্লাহ তামিম জানান, সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ কখনো কারো জন্ম বা মৃত্যুর কারণে ঘটে না। এটি আল্লাহর অগণিত নিদর্শনের একটি অংশ, যা বান্দাদের সতর্ক ও স্মরণ করানোর জন্য প্রেরণ করা হয়।

পবিত্র কোরআনে সূর্য ও চন্দ্রের গুরুত্বের বিষয়ে বলা হয়েছে। সূর্যকে প্রদীপরূপে, চাঁদকে আলোরূপে আলোকিত করা হয়েছে এবং রাত ও দিনকে মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত করা হয়েছে। এসব নিদর্শন বোধশক্তি সম্পন্ন মানুষের জন্য আল্লাহর মহিমার প্রমাণ হিসেবে রয়েছে।

হাদিসের আলোকে জানা যায়, নবী মুহাম্মদ (সা.) সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণের সময় মসজিদে প্রবেশ করে দূর নামাজ আদায় করতেন এবং লম্বা কিয়াম, রুকু ও সিজদার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। হজরত আবু বকর ও হজরত আবু মুসা (রা.) এর বর্ণনা অনুযায়ী, নবী (সা.) বলেন, এগুলো কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে ঘটে না। যখন এগুলো দেখা যাবে, তখন আতঙ্কিত হৃদয়ে আল্লাহর জিকির, দোয়া ও ইস্তিগফারে ব্যস্ত থাকুন।

বিজ্ঞানের আলোয় দেখা যায়, সূর্যগ্রহণের সময় চাঁদ পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে চলে আসে, যা সম্পূর্ণরূপে প্রাকৃতিক ঘটনা। নবী মুহাম্মদ (সা.) এর এই আমল সেজদা ও দোয়া একটি যুক্তিসঙ্গত এবং বিজ্ঞানসম্মত ধর্মীয় আচরণ।

সূর্যগ্রহণকে উৎসব বা দুর্ভাগ্যের সূচক হিসেবে না ধরে, ইসলামের নির্দেশ অনুযায়ী নামাজ ও দোয়া আদায় করা মানুষের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।