দুর্ঘটনা বা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কখনো আগে থেকে বলা যায় না। যেকোনো মুহূর্তে এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারে, কেড়ে নিতে পারে বহু প্রাণ ও সহায়-সম্পদ। তাই আগুন লাগলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি আল্লাহর ওপর ভরসা করে দোয়া ও আমল করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন ইসলামি আলেমরা।
আগুন লাগলে আশপাশের মানুষকে আগুন নেভাতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, একই সঙ্গে আল্লাহকে স্মরণ করে মাসনুন দোয়া পাঠ করতে হবে। আগুন দেখে হতাশ না হয়ে আল্লাহর ওপর ভরসা করে তা নিভানোর উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
হয়রত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
‘তোমরা যখন কোথাও আগুন (লাগতে) দেখো, তখন (উচ্চস্বরে) ‘আল্লাহু আকবার’ বলো। কারণ উচ্চস্বরে এই তাকবির আগুন নিভিয়ে দেবে।’ (তাবরানি)
ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন, ‘আগুন যত ভয়ংকর হোক না কেন, তাকবিরের মাধ্যমে তা নিভে যেতে পারে। আর আজানের মাধ্যমে শয়তান পলায়ন করে।’
এ ছাড়া পবিত্র কুরআনের একটি আয়াতেও আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার দোয়া হিসেবে উল্লেখ আছে। হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে আগুনে নিক্ষেপ করা হলে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন-
يَا نَارُ كُونِي بَرْدًا وَسَلَامًا عَلَىٰ إِبْرَاهِيمَ
উচ্চারণ: ইয়া নারু কুনি বারদান ওয়া সালামান আলা ইবরাহীম।
অর্থ: হে আগুন! তুমি ইবরাহিমের জন্য শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও। (সুরা আম্বিয়া: ৬৯)
ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে, আগুন লাগার সময় মানুষের করণীয় শুধু আগুন নেভানোর চেষ্টা করাই নয়, বরং আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা রেখে তাকবির, দোয়া ও আয়াত পাঠ করাও গুরুত্বপূর্ণ। এতে আতঙ্ক প্রশমিত হয় এবং মনোবল দৃঢ় থাকে, যা উদ্ধার ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সহায়ক ভূমিকা রাখে।