গাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগ নদের তীরে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা। শুরায়ে নেজামের (মাওলানা জুবায়ের অনুসারী) উদ্যোগে শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) ফজরের নামাজের পর আনুষ্ঠানিকভাবে ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়। আগামী ২ ডিসেম্বর আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের আয়োজন।
ইজতেমার প্রথম দিন শুক্রবার জুমার নামাজে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় দুই লক্ষাধিক মুসল্লি ময়দানে সমবেত হন। বিশাল এই জামাতে ইমামতি করেন কাকরাইল মসজিদের শীর্ষ মুরব্বি হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আহমেদ। এদিন বয়ান পেশ করেন ভারতের মাওলানা আব্দুর রহমান ও মাওলানা ওমর ফারুক, পাকিস্তানের মাওলানা আহমদ বাটলা এবং বাংলাদেশের মাওলানা ফারুক।
ইজতেমায় অংশ নিতে এসে বার্ধক্যজনিত কারণে এক বৃদ্ধ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম নুর আলম (৮০)। তিনি নোয়াখালী সদর উপজেলার সুলতান আহমেদের ছেলে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ইজতেমা আয়োজক কমিটির মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ রায়হান। জুমার নামাজের পর জানাজা শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এবারের জোড় ইজতেমায় বিশ্বের ১৭টি দেশ থেকে ৪৩৬ জন বিদেশি অতিথি অংশ নিয়েছেন। পাকিস্তান, ভারত, সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, কানাডা, চীন, জাপান, আফগানিস্তান ও ইয়েমেনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে মুসল্লিরা ময়দানে উপস্থিত হয়েছেন।
নরসিংদী থেকে আসা মুসল্লি শেখ কামরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবছর এখানে এসে আল্লাহর নৈকট্য অনুভব করি। লাখো মুসল্লির সঙ্গে নামাজ আদায় ঈমানকে আরও মজবুত করে।’ চট্টগ্রামের রাউজান থেকে আসা রুবেল আহমেদ বলেন, ‘বিদেশি মেহমানদের সঙ্গে সাক্ষাতের ফলে ইসলামী ভ্রাতৃত্ববোধ আরও সুদৃঢ় হয়।’
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুন অর রশিদ জানান, ইজতেমার নিরাপত্তায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) পাশাপাশি এপিবিএনের দুটি প্লাটুনের সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া আকাশপথে নজরদারির জন্য ড্রোনসহ আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।