অনলাইন স্ক্যামিং বা প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে ৬৮ লাখেরও বেশি অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত থাকায় অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যাপটির মালিক প্রতিষ্ঠান মেটা।
বুধবার (৬ আগস্ট) প্রকাশিত এক ব্লগ পোস্টে হোয়াটসঅ্যাপের মালিক প্রতিষ্ঠান মেটা জানিয়েছে, স্ক্যামার বা প্রতারকদের রুখতে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের অংশ হিসেবেই চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে এই অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মেটা’র পোস্টে বলা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপকে ব্যবহার করে চালানো এই স্ক্যাম বা প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের একটি বড় অংশই পরিচালিত হয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্ক্যাম সেন্টার থেকে। মিয়ানমার, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে সংগঠিত অপরাধী চক্র দ্বারা পরিচালিত হয় এই স্ক্যাম সেন্টারগুলো, যারা প্রায়শই ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে প্রতারণায় যুক্ত হতে বাধ্য করে সাধারণ ব্যবহারকারীদেরকে।
মেটা জানায়, স্ক্যামাররা সাধারণত প্রথমে ভুক্তভোগীদের কাছে টেক্সট পাঠায়, এরপর কথোপকথন সোশ্যাল মিডিয়া বা মেসেজিং অ্যাপে স্থানান্তর করে। পরে তারা ভুয়া বিনিয়োগ প্রকল্প বা পিরামিড স্কিমের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়। যা প্রায়ই পেমেন্ট বা ক্রিপ্টোকারেন্সি প্ল্যাটফর্মে ঘটে।
একটি আলোচিত অভিযানে, হোয়াটসঅ্যাপ, মেটা ও ওপেনএআই যৌথভাবে কম্বোডিয়াভিত্তিক একটি অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়, যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘রেন্ট-এ-স্কুটার’ নামে একটি ভুয়া স্কিম ছড়ায় এবং প্রতারণার নির্দেশাবলী তৈরিতে চ্যাটজিপিটির অপব্যবহার করে।
স্ক্যামিং বা প্রতারণা রুখতে হোয়াটসঅ্যাপ সম্প্রতি বেশ কিছু অ্যান্টি-স্ক্যাম বা প্রতারণা-বিরোধী উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানিয়েছে মেটা। এর মধ্যে আছে ব্যবহারকারীদেরকে সম্ভাব্য প্রতারণা বা জালিয়াতি সম্পর্কে সতর্ক করা। এছাড়া ব্যবহারকারীদের সতর্ক থাকতে এবং হোয়াটসঅ্যাপের দ্বি-পদক্ষেপ যাচাইকরণ (টু স্টেপ ভেরিফিকেশন) চালু করার পরামর্শ দিয়েছে মেটা। সূত্র: মেটা, বিবিসি।