বাংলাদেশের অর্থনীতির সাফল্যে অনন্য অবদান রেখে চলেছে চট্টগ্রাম বন্দর। দেশের যা কিছু অর্জন, তার মূলে এই বন্দর। চট্টগ্রামের বুক চিরে বয়ে চলা কর্ণফুলী নদীর মোহনায় ১৮৮৬ সালে যাত্রা শুরু এ বন্দরের। ১৩৬ বছরে সেই বন্দরই দেশের অর্থনীতির অবিচ্ছেদ্য বাহন। বন্দর কর্তৃপক্ষ একে আখ্যায়িত করেছে ‘সমৃদ্ধির স্বর্ণদ্বার’ বলে। কেননা, এই বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে।
বন্দরের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, সমগ্র বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়বে, যদি ক্ষণিকের জন্য থমকে যায় চট্টগ্রাম বন্দর। দেশের অর্থনীতিতে এর অবদান এতখানিই যে অন্য যেকোনো বন্দর এর ধারে কাছেই নেই। দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের বেশির ভাগই সামাল দিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। দেশের মোট জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার (জিডিপি) যেখানে ৭ থেকে ৮ শতাংশ, সেখানে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের প্রবৃদ্ধির হার ২১ শতাংশ।
জানা গেছে, দেশের মোট আমদানি ও রপ্তানি পণ্যের ৯২ শতাংশই পরিবাহিত হয় চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে। সময়ের পরিক্রমায় দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরে পরিণত হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর, বেড়েছে বন্দরের পরিধিও। চলমান বৈশ্বিক প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব দক্ষতার মাধ্যমে কার্গো ও কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এতে শুধু গতিবৃদ্ধিই নয়, অর্থও সাশ্রয় হয়েছে।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক চেষ্টার পাশাপাশি সরকারের সদিচ্ছায় বিশ্বনন্দিত অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি সংযোজন বন্দরকে এনে দেয় ভিন্ন মাত্রা। ফলে বন্দরের গতিশীলতা অবিশ্বাস্যভাবে বৃদ্ধি পায়। এর ফলে ২০১৯ সালে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে রেকর্ড গড়ে তিন মিলিয়ন ক্লাবে প্রবেশের মধ্য দিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে চট্টগ্রাম বন্দর। সে সময় ৩০ লাখ ৮৮ হাজার ১৮৭ টিইইউ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছিল। তবে করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবা এতে রাশ টানে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, কভিড পরিস্থিতির মধ্যে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সালে কনটেইনার হ্যান্ডলিং ২৮ লাখ টিইইউতে নেমে আসে। তবে ঘুরে দাঁড়াতে বেশি সময় লাগেনি। পরের বছরই তা আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ৩২ লাখ ১৪ হাজার ৫৪৮ একক কনটেইনারে পৌঁছে। ২০২২ সালে তা একটু কমে ৩১ লাখ ৪২ হাজার ৫০৪ টিইইউ এবং সর্বশেষ ২০২৩ সালে ৩০ লাখ ৫০ হাজার ৭৯৩ টিইইউ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড রক্ষায় জাহাজের কনটেইনার লোড-আনলোড ও পরিবহনে চট্টগ্রাম বন্দরে রয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন বিভিন্ন রকমের ক্রেন।
২০২২-২৩ সালে বন্দরের বহরে যুক্ত হয় চারটি মোবাইল ক্রেন, যার মধ্যে দুটি ৫০ টন ও দুটি ১০০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন। এ ছাড়া ছয়টি রাবার টায়ারড গ্যান্ট্রি ক্রেন, ৩৪টি কিউজিসি এবং দুটি কনটেইনার মোভার কেনা হয়। শিগগিরই প্রায় ৯১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০৪টি যন্ত্রপাতি কেনার পরিকল্পনা রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল দৈনিক খবর সংযোগকে বলেন, বেশ অনিশ্চয়তার মধ্যেই এ বছরও আমরা তিন মিলিয়ন কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে যাচ্ছি। বছরের শেষ দিন অবধি তা তিন মিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়। এ নিয়ে গত পাঁচ বছরে চারবার ‘থ্রি মিলিয়ন ক্লাবের’ সদস্য চট্টগ্রাম বন্দর।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের ঐতিহ্য হাজার বছরের। এই বন্দর দিয়েই বাংলাদেশকে চিনত গোটা পৃথিবী। চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধ হলে দেশ অচল হয়ে পড়বে—এই মন্ত্র বুকে ধারণ করে আমরা প্রতিটি কর্মী নিরলস কাজ করছি। বন্দর এখন সুশাসন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠান। এসব কারণে গতিশীলতা বেড়েছে। আমাদের লক্ষ্য দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠ বন্দর হিসেবে একে প্রতিষ্ঠা করা।
স্মার্ট পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় বন্দর এখন বেশ গতিশীল। অথচ কয়েক বছর আগেও ছিল ব্যবসায়ীদের অসন্তোষ, শ্রমিক আন্দোলন আর জাহাজ-জটের নিত্য অপবাদ। ছিল না আধুনিক প্রযুক্তিসই যন্ত্রপাতি, দক্ষ জনবল। এখন সেসব অভিযোগ নেই, নেই অসন্তোষও। অনেক ঘাটতি ঘুঁচিয়ে বন্দর এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিশ্বদরবারে শতভাগ অপরাধমুক্ত বন্দর এখন চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক দৈনিক খবর সংযোগকে বলেন, বন্দরের টার্মিনাল ব্যবস্থাপনা, গেট অপারেশন সিস্টেমসহ সব কিছুতে ডিজিটাইজেশন হয়েছে। একসময় জেটি সরকাররা সহস্র কনটেইনারের ভিড়ে নিজের কনটেইনার খুঁজে বের করতেন। এখন সেই দুর্ভোগ নেই। সাধারণ একটি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে মুহূর্তেই কনটেইনারের লোকেশন বের করা যাচ্ছে। এখন কেবল একটি ফিঙ্গার ট্রিপে সব কিছু পেয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া সামগ্রিক ডকুমেন্টেশন সিস্টেম, যেটি কার্গো ডেলিভারি ডিসচার্জ থেকে শুরু করে একেবারে দোরগোড়ায় ডেলিভারি পর্যন্ত পুরো জিনিসটাই কম্পিউটারাইজড। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে অনেক গতি ফিরেছে।
সচিব আরো বলেন, বন্দরের সামগ্রিকভাবে এখানে অপরাধ কর্মকাণ্ড নেই বললেই চলে। রিক্যাপের প্রতিবেদনেও সে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ‘জিরো পাইরেসি পোর্ট’ হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যে খেতাব পাওয়া গেছে, তা সত্যিই গর্বের।
বদলে যাওয়া বন্দর
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বন্দরের আলাদা ১৭টি শেডে রাখা হয়েছে রাসায়নিক পদার্থ, গাড়ি ও অন্যান্য সাধারণ মালপত্র। বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যগুলো অক্ষতভাবে রাখার সর্বাঙ্গীণ ব্যবস্থা রয়েছে। বন্দরের ভেতরে দিন বা রাতের কোনো পার্থক্য দেখা যায়নি। কর্মচঞ্চল ২৪ ঘণ্টা মালপত্র ঢুকছে কিংবা বের হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ এলাকাগুলোর প্রতিটি ব্লকে নিরাপত্তাকর্মীদের সক্রিয় অবস্থান দেখা গেছে। অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা থেকে রক্ষায় নিরাপত্তা চৌকি থেকে প্রতিটি মুহূর্ত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
মাত্র দেড় দশক আগেও চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর ডাকাতপ্রবণ হিসেবে পরিচিত ছিল। বন্দর কর্তৃপক্ষ ও কোস্ট গার্ডের পদক্ষেপে এই জলসীমা এখন অপরাধমুক্ত। সেই চুরি-ডাকাতি নেই। এর ফলে বন্দরের সুনাম বেড়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। বাণিজ্যিক জাহাজে সংঘটিত সশস্ত্র ডাকাতি, দস্যুতা ও চুরির ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে রেটিং প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক সংগঠন রিক্যাপ। সেখানে গত কয়েক বছর চট্টগ্রাম বন্দরকে জিরো ক্রাইম বা অপরাধমুক্ত বন্দর বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চবক চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় বন্দরের অভ্যন্তরে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে না বলে জানান কর্মকর্তারা।
রিক্যাপের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় ২০১৯ সালে দস্যুতার ঘটনা শূন্যে নেমে আসে। সে বছর বিভিন্ন দেশের জলসীমায় ৮২টি ঘটনা রেকর্ড করেছে রিক্যাপ। এর মধ্যে বাংলাদেশ ও বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় কোনো ঘটনা ঘটেনি। এরপর আর কোনো বছরই দস্যুতার ঘটনা ঘটেনি। বিশাল জলসীমায় দস্যু দমনের সাফল্য বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।
বন্দরের অভ্যন্তরেও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এখন শূন্যের কোঠায়, দাবি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। তারা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থা বিশ্বমানের। বন্দরের প্রায় পুরো অংশই সিসি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে। বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সহযোগী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাও বলেছেন, কয়েক বছর আগেও বন্দরে পণ্য রাখা ছিল অত্যন্ত অনিরাপদ। এখন সেই দুশ্চিন্তা নেই। কর্তৃপক্ষের বিচক্ষণ নিরাপত্তাব্যবস্থার কারণে বন্দর এখন শতভাগ নিরাপদ জায়গা।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্নেল মোস্তফা আরিফ-উর রহমান দৈনিক খবর সংযোগকে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর একটি আইএসপিএস কমপ্লায়েন্ট বন্দর। বন্দরের সংরক্ষিত ও সংলগ্ন এলাকার প্রায় ৯৮ শতাংশ সিসিটিভি মনিটরিংয়ের আওতায়। অত্যাধুনিক সিসিটিভি কন্ট্রোল সেন্টার থেকে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের প্রতিটি প্রবেশপথে ‘অ্যাকসেস কন্ট্রোল’ রয়েছে। অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে বন্দরের নিজস্ব ফায়ার ইউনিটে রয়েছে ফায়ার ফাইটিং ফোম টেন্ডার, রেসকিউ ভেহিকল, রিকভারি ভেহিকল। বন্দর এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ এবং স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গা।
চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বন্দর ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট হায়দার ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার মো. বেলাল উদ্দিন। দৈনিক খবর সংযোগকে তিনি বলেন, বন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থা অতীতের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। একসময় আমাদের নানা ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হতো। মালপত্র রাখলে অনেক সময় খুঁজে পাওয়া যেত না। এখন আমরা যারা পণ্য আমদানি-রপ্তানি বা পণ্য খালাস প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত, তাদের জন্য বন্দরের ভেতরে আলাদা শেড রয়েছে। মালপত্রের জন্য আমরা যথেষ্ট নিরাপত্তা পাচ্ছি। এটি অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক দিক।
ব্যয় সংকোচন বা সাশ্রয়ের দিক থেকেও অনন্য প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। চেয়ারম্যানের সুদক্ষ নেতৃত্বে বিদায়ি বছরে অন্তত ১২০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ নিরীক্ষণ বিভাগের তথ্যে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের মোট রাজস্ব আয়ের প্রায় ৮৫ শতাংশ হয় জাহাজ সেবা ও মালপত্র হ্যান্ডল খাত থেকে। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথমার্ধের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময় রাজস্ব আয় ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, রাজস্ব ব্যয় প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে এবং রাজস্ব উদ্বৃত্ত প্রায় ২২ শতাংশ বেড়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরে কার্গো ও কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ধারাবাহিকতা রক্ষার কারণে রাজস্ব আয়ও স্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এদিকে আমরা নানাভাবে ব্যয় সংকোচন করে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় করেছি। সেটার সুফলও অচিরেই দেখা মিলবে। রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করতে পেরেছি আমাদের কর্মদক্ষতার মাধ্যমে। বন্দর কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বন্দরের প্রতিটি স্টেকহোল্ডারের ভূমিকা রয়েছে। রাজস্ব আয় বৃদ্ধির পেছনে তাদের কঠিন পরিশ্রম, ২৪ ঘণ্টা কাজ করার যে প্রবণতা, তাদের যে শ্রম-ত্যাগ, এটা হলো অন্যতম কারণ।’
চট্টগ্রাম বন্দর দিন দিন তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলছে। গত ১০ থেকে ১২ বছরে বন্দরের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এতে সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন টার্মিনাল সংযুক্ত হয়েছে। নতুন জেটি সংযুক্ত হয়েছে। নিয়মিতভাবে চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন হচ্ছে। সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যারা বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীমহল, দেশে-বিদেশে তারা দিন দিন ভালো পোর্ট সার্ভিস পাচ্ছে। সার্ভিস পাচ্ছে বলেই নানা ধরনের বিদেশি বিনিয়োগ দেশে বাড়ছে।