ইন্টার মিলানকে কাঁদিয়ে শেষ আটে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ

প্রথম লেগের খেলায় জয় পাওয়ায় কোয়ার্টার ফাইনালের পথে এগিয়ে ছিল ইন্টার মিলান। কিন্তু অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের কাছে ফিরতি লেগের খেলায় হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে গেছে গতবারের ফাইনালিস্টরা। নির্ধারিত সময়ের খেলায় অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ ২-১ গোলে জয় পাওয়ায় গোল গড় ২-২ হয়। অতিরিক্ত সময়ের খেলায় কোনো দল গোল না পাওয়ায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৩-২ গোলের জয় নিয়ে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁঁছেছে।

নিজেদেরকে ইন্টার মিলান দুর্ভাগা ভাবতেই পারে। প্রথম লেগের খেলায় ১-০ গোলে জয়ের পর বুধবার (১৩ মার্চ) রাতে অ্যাওয়েতে ফিরতি লেগের ম্যাচে ৩৩ মিনিটে ফেডেরিকো ডিমার্কো গোল করে ইন্টার মিলানকে এগিয়ে নিয়েছিলেন। প্রথম লেগের গোলের সুবাদে ২-০ গোল গড়ে এগিয়ে যায় ইন্টার মিলান। এ অবস্থায় অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের অন্ধ ভক্তও অন্ধকার দেখতে শুরু করেন। কিন্তু ইন্টার মিলান সমর্থকদের চমকে দিতে মোটেও দেরি করেন অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ।

গোল হজমের দুই মিনিট পরই মাদ্রিদ ব্যবধান কমিয়ে আনে। অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান ৩৫ মিনিটে ম্যাচের সমতাসূচক গোল করেন। খেলার শেষ বাঁশি বাজার কয়েক মিনিট আগে মেমফিস দেপে গোল করে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের সমর্থকদের চোখমুখে আনন্দ ছড়িয়ে দেন। আর ইন্টার সমর্থকদের মুখের হাসি উধাও হয়ে যায়। অতিরিক্ত সময়ে কোনো দল আর গোল করতে পারেনি।

অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ নির্ধারিত সময়ের খেলায় জয় পেতে পারতো। গ্রিজম্যান চমৎকার এক সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন রদ্রিগো রিকুয়েলমেকে। কিন্তু সুযোগটি তিনি কাজে লাগাতে পারেননি। সহজ জায়গা থেকে বল বারের ওপর দিয়ে বাইরে পাঠিয়ে দেন- যা কোচ দিয়াগো সিমেওনে বিশ্বাস করতে পারেননি। সুযোগ নষ্ট হওয়ায় অবিশ্বাসে নিজেরে মুখ ঢেকে ফেলেন তিনি।

দিয়াগো সিমেওনের জন্য ম্যাচটা অন্যরকম এক পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। একটু আবেগময় হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কেননা ইন্টার মিলান তার সাবেক ক্লাব। সাবেক ক্লাব ও সাবেক সতীর্থ সিমোনো ইনজাঘিকে হারানোর পর কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।

এক আর্জেন্টাইন আনন্দে কেঁদেছেন, অন্য এক আর্জেন্টাইন হতাশায় কেঁদেছেন। সিমেওনের কান্না ছিল আনন্দের। আর লাউতারো মার্টিনেজের কান্না ছিল হতাশার। টাইব্রেকারে তার শট বারের ওপর দিয়ে চলে যাওয়ায় ইন্টার মিলানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টিকিটও উড়ে গেছে। অবশ্য তার আগে মাদ্রিদের গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাক রুখে দিয়েছিলেন ইন্টারের অ্যালেক্সিস সানচেজ ও ডেভি ক্লাসেনের শট। মূলত এখানেই ইন্টারের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়।