বিপিএল থেকে ছিটকে গেলেন মাশরাফি-সাকিব!

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসর থেকে ছিটকে গেলেন তারকা ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান। দেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দুজনের কারোই খেলার সম্ভাবনা নেই বলে জানা গেছে।

সাকিব–মাশরাফিকে ছাড়াই একাদশ বিপিএলের জন্য প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুশীলনে মাঠে নামছে দলগুলো। ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে বিপিএলের একাদশ আসর। 

ক্রিকেটার পরিচয় ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠেছে তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয়। মাশরাফি, সাকিব ছিলেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর দুজনই ব্রাত্য হয়ে পড়েন বাংলাদেশের ক্রিকেটে। হত্যা ও নাশকতার মামলায় জড়িয়েছে তাঁদের নাম।

মাশরাফি তবু দেশে আছেন বলে জানা যায়, সাকিব তো আসতেই পারছেন না। নিরাপত্তার কারণে ঘরের মাঠে শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছা পূরণ হয়নি, খেলেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও। বিসিবির পক্ষ থেকে তাঁদের কারোই বিপিএলে খেলতে বাধা নেই। এ–ও বলা হচ্ছে, বিপিএলে খেলা বা না খেলাটা সাকিব–মাশরাফির ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিপিএলের পরিবেশ তাঁদের খেলার অনুকূলে থাকার কোনো কারণ নেই।

সিলেট স্ট্রাইকার্স দলে থাকা মাশরাফি তো দীর্ঘদিন ধরে খেলা–অনুশীলন–ফিটনেস ট্রেনিং, কিছুর মধ্যেই নেই। এবার চিটাগং কিংসে থাকা সাকিব বিদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেললেও আছেন বোলিং অ্যাকশন নিয়ে জটিলতায়। ইংলিশ কাউন্টিতে অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর ২ ডিসেম্বর বার্মিংহামের লাফবরো ইউনিভার্সিটিতে দেওয়া পরীক্ষায় তাঁর অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়ে। সর্বশেষ ২১ ডিসেম্বর ভারতের চেন্নাইয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছেন সাকিব। রিপোর্ট পাওয়ার কথা দু–এক দিনের মধ্যে।

বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সমস্যা যদি থেকেও যায়, সাকিব চাইলে বিপিএলে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবেও খেলতে পারতেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি নিজেও সে চিন্তা করেন বলে মনে হয় না। চিটাগং কিংসের মালিক সামির কাদের চৌধুরী অবশ্য এখনই আশা ছাড়ছেন না। তিনি বলেছেন, ‘আমরা আশাবাদী সাকিবকে পাব। তাঁর খেলার সম্ভাবনা এখনো ফিফটি–ফিফটি বলব আমি।’