স্টেডিয়াম থেকে আজহারউদ্দিনের নাম মুছে ফেলার নির্দেশ

স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগে হায়দরাবাদ স্টেডিয়াম থেকে মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের নাম মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থাকে।

ভারতের সাবেক অধিনায়ক আজহারউদ্দিন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর সঙ্গে আলাপে বলেন, ‘এখানে কোনো স্বার্থের সংঘাত নেই। আমি এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না, আমি এতটা নিচে নামতে চাই না। ক্রিকেট বিশ্ব এই সংস্থাকে নিয়ে হাসবে। ১৭ বছর ক্রিকেট খেলেছি, প্রায় ১০ বছর দলকে নেতৃত্ব দিয়েছি, সম্মানের সাথেই। হায়দরাবাদে এভাবেই কি ক্রিকেটারদের সঙ্গে আচরণ করা হয়? এটা অত্যন্ত দুঃখজনক একটি বিষয়। আমরা অবশ্যই আদালতে যাব। আইন তার নিজস্ব পথে চলবে।’

হায়দরাবাদের লর্ডস ক্রিকেট ক্লাব (এলসিসি) হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের নর্থ স্ট্যান্ড থেকে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি আজহারউদ্দিনের নাম সরানোর দাবি জানিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করে।

হায়দরাবাদের লর্ডস ক্রিকেট ক্লাব তাদের অভিযোগে জানায়, এখানে একটি কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট (স্বার্থের সংঘাত) ছিল। কারণ, আজহারউদ্দিন নিজেই যখন হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন, তখনই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অভিযোগ শুনে ন্যায়পাল বিচারপতি ভি. ঐশ্বরিয়া হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে নর্থ প্যাভিলিয়ন স্ট্যান্ড থেকে আজহারউদ্দিনের নাম সরানোর নির্দেশ দেন। এছাড়া, হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে আজহারউদ্দিনের নাম লেখা আর কোনো টিকিট ইস্যু না করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তার ২৫ পৃষ্ঠার সিদ্ধান্তে ন্যায়পাল লিখেছেন, অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ পরিষদের দ্বারা এই সিদ্ধান্তের কোনো অনুমোদন না থাকায় আজহারউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলাটি আরও শক্তিশালী হয়েছে, কারণ তিনি নিজের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।

এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর, প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন বলেন, বর্তমান প্রশাসন তাকে লক্ষ্যবস্তু করছে, কারণ তিনি তার মেয়াদে দুর্নীতি করতে দেননি। 

২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আজহারউদ্দিন হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন। ২০১৯ সালে একটি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নর্থ প্যাভিলিয়ন স্ট্যান্ডের নাম ‘ভিভিএস লাক্সমান-এর পরিবর্তে ভারতের সাবেক এই অধিনায়কের নামে রাখা হবে। পরবর্তীতে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয় এবং স্ট্যান্ডের নাম পরিবর্তন করে ‘মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন’ রাখা হয়।