শেষ পর্যন্ত আশঙ্কা সত্যি হলো। বৃষ্টির একটা হুমকি ছিল। সেই বৃষ্টি নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের শেষ সময়ে এসে ম্যাচটি ঠিকমতো শেষ হতে দিল না। আর তাতেই মাউন্ট মঙ্গানুউয়ে তৃতীয় ম্যাচটি শেষ করতে ডিএলএস মেথডে নির্ভর করতে হলো। বাংলাদেশের করা ১১০ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ড ১৪.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ৯৫ রানে থাকা অবস্থায় বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির ঝাপটা বেশি হওয়ায় আম্পায়ার খেলা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন।
বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ অবস্থায় নিউজিল্যান্ড সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল। যে অবস্থায় খেলা বন্ধ হয়েছিল তখন নিউজিল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৭৮ রান। কিন্তু তারা ১৬ রানে এগিয়ে ছিল এবং ডিএলএস মেথডে তাদেরকে ১৭ রানের জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের এ জয়ের ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ ১-১ ব্যবধানে শেষ হলো।
প্রথম ম্যাচের জয়ে বাংলাদেশ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। সম্ভাবনা তৈরি করেছিল সিরিজ জয়ের। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়। ম্যাচটি শুরুতেই শেষ হয়েছিল। এক ইনিংসও শেষ না হওয়ায় ম্যাচের ফল হয়নি। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে বৃষ্টি হামলা করলেও ফল হতে কোনো সমস্যা হয়নি।
তৃতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে নিজেদের মাটিতে হোয়াইট ওয়াশের লজ্জায় ডুবতে হবে। মাউন্ট মঙ্গানুইতে এমন কঠিন ম্যাচে স্বাগতিক দল টস জিতে প্রথমে বল করতে নামে। ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে কি করতে হবে তা ভালো করেই জানতেন কিউই বোলাররা। আর তাই করেছেন। আগুন ঝড়িয়েছেন। সেই আগুনে পুড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
পুরো ২০ ওভার খেলার সুযোগ পায়নি টাইগার ব্যাটাররা। ১৯.২ ওভারে ১১০ রানে অল আউট। সর্বোচ্চ রান ১৭। অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের ব্যাট থেকে এসেছে এই রান। তারপর রয়েছেন তাওহীদ হৃদয় ও আফিফ হোসেন। তারা যথাক্রমে দলকে ১৬ ও ১৪ রান উপহার দিয়েছেন।
কিউই অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারই বাংলাদেশের মূল সর্বনাশটা করেছেন। একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট, খরচ মাত্র ১৬ রান। টিম সাউদি, অ্যাডাম মিলনে ও বেন সিয়ার্স দুটো করে উইকেট নিয়েছেন। আর তাতেই বাংলাদেশের ১০ উইকেট ভাগাভাগি শেষ।
আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ যদিও ১১০ রানে অল আউট হয়েছিল তবে স্বস্তিতে থাকতে দেয়নি নিউজিল্যান্ডকে। তাদেরও একের পর এক উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশের বোলাররা। মাহেদি হাসান, শরিফুল ইসলামরা দ্রুত কিউইদের ৫ উইকেট তুলে নেন। উভয়ে দুটো করে উইকেট নিয়েছেন, একটা রান আউট। ৪৯ রানে হারায় পঞ্চম উইকেট। খেলা অনেকটা বাংলাদেশের পক্ষে হেলে পড়ে। স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ, সিরিজ জয়ের স্বপ্ন। এমন অবস্থায় ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান জেমস নিশাম ও মিচেল স্যান্টনার। দারুণ ব্যাটিং করে দলকে বিপদমুক্ত করেন। সে সঙ্গে দলের জয়টা নিশ্চিত করেন। নিশাম ২০ বলে ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন। স্যান্টনার সমান বলে করেন ১৮ রান। এমন অবস্থায় বৃষ্টি আসে। শেষ হয় খেলা।