বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ কিংবা সিরিজ যেন একটু নাটকীয় কিছু না হলে জমে না! গত বুধবার (৬ মার্চ) হয়ে গেল এক দফা নাটক। বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেওয়া সৌম্য সরকারকে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ফিরিয়েই দেয় শ্রীলঙ্কা। বিনুরা ফার্নান্দোকে পুল করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন সৌম্য। আবেদনে আম্পায়ার আঙুল তুলে দিয়েছিলেন।
কিন্তু তারপরই রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। সেখানে দেখা যায় বল ব্যাটের পাশ দিয়ে যাচ্ছে যখন, তখন একটা স্পাইক ছিল আল্ট্রা এজে। তবে থার্ড আম্পায়ারের এরপরও মনে হয়েছে, ব্যাট আর প্যাডের মাঝে ফাঁকা জায়গা ছিল।
আল্ট্রা এজ পর্যন্ত দেখে সৌম্য প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটতে শুরু করেন, তখনই এল নট আউটের সিদ্ধান্ত। তিনি থেমে গেলেন। শ্রীলঙ্কানরা বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না হচ্ছেটা কী! সঙ্গে সঙ্গে সদলবলে ছুটে যান আম্পায়ারের কাছে।
এনিয়ে বেশ সরগরম চারপাশ। যদিও সৌম্য সরকার আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। এ কারণেই আম্পায়ার গাজী সোহেল আউট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নেন। এমন কী অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যান লিটন দাসের সঙ্গে আলোচনাও করেননি।
শেষ পর্যন্ত সৌম্য আউট হননি, আলট্রা-এজে স্পাইক দেখানো সত্ত্বেও টেলিভিশন আম্পায়ার মাসুদুর রহমান ঘোষণা করেন, বল ব্যাটে লাগেনি। সিলেটে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ শেষে সৌম্যও জানালেন বল ব্যাটে লাগেনি!
এনিয়ে টি-স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌম্য বলেন, দেখুন, আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, বল আমার ব্যাট লাগেনি। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর আমি সরাসরি রিভিউ নিয়েছি। হয়তোবা কোনো একটা শব্দ এসেছিল, আমার চেইন থেকে হতে পারে কিংবা হেলমেট থেকে হতে পারে। আত্মবিশ্বাসী থাকার কারণেই লিটনের কাছে জিজ্ঞাসা না করেই রিভিউ নেওয়া।
ওই সময় সৌম্যর রান ছিল ১০ বলে ১৪। ‘জীবন’ পাওয়ার পর আরও ১২ বল খেলেন। আউট হন ২২ বলে ২৬ রান তুলে। সৌম্য সরকার সুযোগ ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারছেন না। সর্বশেষ ১০টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে চারবার ২০ রান পেরিয়েছেন। এর মধ্যে তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ২৬!
তবে বুধবার বাংলাদেশ ঠিকই জিতেছে। শ্রীলঙ্কার ১৬৫ রানের মাঝারিমানের স্কোর তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ টার্গেট টপকে গেল ৮ উইকেট হাতে রেখে। ম্যাচের তখনো ১১ বল বাকি। ৮ উইকেটের এই বড় জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে সমতা আনলো বাংলাদেশ। ৯ মার্চ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি। যেখানে যারা জিতবে-সিরিজ তাদেরই!