প্রথম টেস্টে হারের পর বিরুপ সমালোচনায় বিদ্ধ পাকিস্তান। তবে দারুণভাবে সমালোচকদের জবাব দিয়েছে ক্রিকেটাররা। প্রথম ম্যাচে হারলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ পাকিস্তান ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে। শেষ দুই ম্যাচ প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতেই দেয়নি পাকিস্তান। তিন দিনে শেষ হওয়া রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট পাকিস্তান জিতেছে ৯ উইকেটে। সৌদ শাকিল ম্যাচ সেরা হয়েছেন। আর সাজিদ খান সিরিজ সেরা।
পাকিস্তানের সিরিজ জয়ের নায়ক দুই স্পিনার সাজিদ খান ও নোমান আলী। শেষ দুই টেস্টে তারা প্রতিপক্ষের ৩৯ উইকেট ভাগাভাগি করেছেন। তাদের দাপটে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ২৬৭ রানে অল আউট হয়েছিল। আর দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১১২ রান করে পাকিস্তানের সামনে ইংল্যান্ড মাত্র ৩৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয়। পাকিস্তান মাত্র ৩.১ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে এ ম্যাচে জয় তুলে নেয়।
পাকিস্তানের জন্য অন্যরকম এক সিরিজ ছিল এটি। ২০১৫ সালের পর এই প্রথম ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয় করলো পাকিস্তান। আর ১৯৯৫ সালের পর প্রথম ম্যাচে হারের পর সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব দেখাল তারা। ১৯৯৫ সালে জিম্বাবুয়ের কাছে প্রথম ম্যাচে হারের পর শেষ দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় করেছিল পাকিস্তান।
পাকিস্তানের জন্য এ ম্যাচটি মোটেও সহজ ছিল না। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে করা ২৬৭ রানের জবাবে এক পর্যায়ে পাকিস্তান ১৭৭ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়েছিল। সেখানে সৌদ শাকিল দুটো দারুণ পার্টনারশিপ গড়েন। প্রথম জুটিতে তার সঙ্গী ছিল নোমান আলী। আর পরের জুটিতে সঙ্গী হয়েছিলেন সাজিদ খান। নোমান আলী ৪৫ রান করেছিলেন। আর সাজিদ খানের সংগ্রহ ছিল ৪৮। শাকিল শেষ পর্যন্ত ১৩৪ রান করেন।
ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে নোমান আলী ও সাজিদ খান ১০ উইকেট ভাগাভাগি করেছেন। নোমান পেয়েছেন ৬ উইকেট। সাজিদের শিকার ৪ উইকেট।