মুস্তাফিজুর রহমান। ক্রিকেট অঙ্গনে তিনি পরিচিত আরেকটু ভিন্ন নামে-ফিজ! আর্ন্তজাতিক ধারাভাষ্যকার থেকে বন্ধুবান্ধব, সতীর্থরা সবাই তাকে এখন এই নামেই বেশি ডাকেন। ফিজ বললেই বুঝে নিতে হয় ইনি আর কেউ নন, মুস্তাফিজ। আমাদের মুস্তাফিজ।
মজার ব্যাপার হলো নিজের এই ভালোবাসার নামের সঙ্গে মুস্তাফিজ নিজেই পরিচিত ছিলেন না। শুরুতে যখন মাঠে অনুশীলনে এসে বোর্ডে চোখ বুলিয়ে ফিজ নামটা দেখলেন তখন ভাবলেন-এটা আবার কে? ভেবেছিলেন এই নামটা অন্য কারোর হতে পারে। কিন্তু অনুশীলন বোর্ডে নিজের নাম না দেখে কৌতুহলী হলেন। পরে জানলেন এই ‘ফিজ’ আর কেউ নন, তিনি নিজেই!
সেই অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে মুস্তাফিজ বলছিলেন- ‘আমি যখন প্রথমদিকে যখন অনুশীলনে আসি তখন দেখি মাঠে বোর্ডে একটা নাম লেখা আছে- ফিজ। এটা কে? প্রথম দিনে আমি তাকে চিনতে পারিনি। পরে আমাকে জানানো হলো এটা আমিই। আমার নামটা এভাবেই লেখা হয়েছে। কারণ বোর্ডে আমার পুরো নাম মুস্তাফিজুর রহমান লিখতে গেলে বড় হয়ে যায় তাই শুধু ‘ফিজ’ লিখে রাখা হয়েছে। তারপর আইপিলে খেলতে গেলাম আমি ২০১৬ তে। ওখানেও এই ফিজ নামটাই ধরে সবাই ডাকতো। পরে তো ওই নামটাই পপুলার হয়ে গেল।’
মুস্তাফিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল সাফল্যের সোনারবাটি হাতে নিয়েই। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নিজের ক্যারিয়ারের শুরুর ম্যাচেই দুর্দান্ত পারফরমেন্স দেখিয়ে তার শুরু হয়েছিল। শুরুতে তার কার্টার, স্লোয়ার, অ্যাঙ্গেল বোলিংয়ের কোনো জবাবই খুঁজে পায়নি বিশ্বের অনেক বিখ্যাত ব্যাটাররা। তিন ফরমেটেই নিজেকে মানিয়ে নিয়েছিলেন ফিজ। তবে এখন টেস্ট ক্রিকেট খেলেন না। শুধুমাত্র ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতেই সময় দেন।
মুস্তাফিজ বলছিলেন, ‘দেশের হয়ে খেলাটা সবসময় আনন্দের বিষয়। গর্বের বিষয়। আমি খুব উপভোগ করি দেশের হয়ে খেলাটা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আমি খুব উপভোগ করি। কারণ এই ফরমেটের ক্রিকেটে অনেক বেশি চাপ থাকে। আর আমি চাপটাও উপভোগ করি।’
চাপ অনেকে সহ্য করতে পারে না। ফিজের হিসেব অন্য রকম। চাপের মধ্যে খেলেই আনন্দে কাটে তার দিনমান। আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে এই মৌসুমে ভালো পারফরমেন্স দেখানো মুস্তাফিজের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ফিজ যেন এই বিশ্বকাপে সত্যিকার অর্থেই পারফরমেন্সের আলোয় সাফল্যের বুঁদবুঁদ ছড়ান সেই অপেক্ষায় বাংলাদেশ।