কোচ তৈরিতে বিসিবির উদ্যোগে সাবেকদের দারুণ সাড়া

মাঠের জীবন একসময় শেষ হয়, কিন্তু ক্রিকেট থেকে সম্পর্ক শেষ হয় না। বাংলাদেশ জাতীয় দলের এক সময়ের প্রাণভোমরা ক্রিকেটাররা এবার জীবন শুরু করেছেন ভিন্ন ইনিংসে-কোচিংয়ের পথে।

রাজিন সালেহ, মোহাম্মদ রফিক, নাজমুল হোসেনের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা এখন জড়িয়ে পড়েছেন কোচিং পেশায়। কেউ ঘরোয়া ক্রিকেটে সরাসরি দায়িত্ব নিয়েছেন, আবার কেউ নিজেদের আরও দক্ষ করতে পাড়ি জমিয়েছেন বিসিবির কোচিং কোর্সে।

মিরপুর শেরে-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে চলমান ‘লেভেল-এ’ কোচিং কোর্স যেন সাবেকদের জন্য হয়ে উঠেছে নতুন সম্ভাবনার জানালা। কোর্সটির দ্বিতীয় দিন শেষে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘শুধু খেলা জানলেই হয় না, খেলা শেখাতে পারাটাও জরুরি। যারা এখানে এসেছেন তারা অনেকেই তৃণমূলে কাজ করেন। আমরা চাই, তাদের জ্ঞানকে পেশাদারভাবে গড়ে তোলা হোক।’

সময় বদলেছে। দশ বছর আগেও যেখানে কোচিং পেশায় আসতে আগ্রহী ছিলেন না ক্রিকেটাররা, এখন সেখানে অনেকে নিজের ক্যারিয়ার পরিকল্পনাতেই রাখছেন কোচিংকে। হাবিবুল বাশার বলেন, ‘আগে খেলোয়াড়েরা অবসরের পর অন্য দিকে চলে যেত। এখন দেখি-তারা নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নতুনদের তৈরি করতে চান। এটা দারুণ একটা বদল।’

কেবল স্থানীয় পর্যায়ে নয়, মানসম্পন্ন কোচ তৈরির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারেও বাংলাদেশি কোচদের চাহিদা তৈরি হতে পারে বলে আশাবাদী বিসিবি। সমুন বলেন, ‘লেভেল ওয়ান কোর্সে অনেক সিভি জমা পড়েছে। যারা এখনো খেলছেন তারাও কোচিংয়ের প্রতি আগ্রহী। আমরা বিশ্বাস করি, এদের মধ্যে অনেকেই ভবিষ্যতের পেশাদার কোচ হয়ে উঠবেন।’

এই কোচিং কোর্স একদিনে ফল দেবে না। তবে এটি হতে পারে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের ভিত। হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘আমরা এ ধরনের সেমিনার আরও বেশি করবো। এটাই একমাত্র উপায়, যদি আমরা ঘর থেকে বিশ্বমঞ্চ পর্যন্ত ক্রিকেটকে শক্ত ভিত্তি দিতে চাই।’