আমরা স্পেশাল দল, ভারতকেও হারাতে পারব

এশিয়া কাপের ৪১ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান। চলতি আসরে এর আগে দু’বার দেখা হয়েছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর। দুই ম্যাচেই একপেশেভাবে জয় পেয়েছে ভারত। তবে ফাইনালে পৌঁছেই পাকিস্তান শিবির থেকে শোনা যাচ্ছে আত্মবিশ্বাসী হুঙ্কার- এবার নাকি তারা বদলা নিতেই প্রস্তুত।

বৃহস্পতিবার সুপার ফোরে বাংলাদেশকে ১১ রানে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক সালমান আলি আঘা বলেন, ‘আমাদের ১০-১৫ রানের ঘাটতি ছিল। তবে জানতাম নতুন বলে ভালো বোলিং করতে পারলে চাপ তৈরি করা যাবে। আমরা শুরুতেই সেটি করেছি, আর চাপ তৈরি করতে পারলে রান তাড়া কঠিন হয়ে যায়।’

ব্যাট হাতে বড় সংগ্রহ গড়তে না পারলেও বোলারদের প্রশংসা করেছেন সালমান। শাহিন শাহ আফ্রিদি ব্যাটিংয়ে দুই ছক্কায় ১৯ রান করার পর বল হাতে নেন তিন উইকেট। সমান তিন উইকেট নেন হারিস রউফও। এই জয়ে দলের মানসিক দৃঢ়তাকেই সামনে এনেছেন পাক অধিনায়ক, ‘এই ধরনের ম্যাচ জেতা মানে দলটা স্পেশাল। সবাই কোনো না কোনোভাবে অবদান রেখেছে। ফাইনালে আমরা আরও ভালো করব।’

বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করার পর আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন সালমান, ‘খুবই রোমাঞ্চিত ফাইনাল নিয়ে। আমরা জানি আমাদের কী করতে হবে। আমরা যে কোনো দলকে হারানোর মতো ভালো দল এবং রোববার নেমে সেটাই প্রমাণ করব।’

অতীত রেকর্ড অবশ্য পাকিস্তানের পক্ষে নেই। টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের ১৫ লড়াইয়ে ভারতের জয় ১২টিতে, পাকিস্তানের মাত্র ৩টিতে। এ আসরেই প্রথম ম্যাচে ভারত জিতেছিল ৭ উইকেটে, দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ উইকেটে। এবার রোববার দুবাইয়ে বসবে বহুল প্রতীক্ষিত ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল।