আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) নতুন প্রেসিডেন্ট হলেন সাবেক ক্রিকেটার এবং জম্মু ও কাশ্মির ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রশাসক মিঠুন মানহাস।
রোববার মুম্বাইয়ে বিসিসিআই-এর ৯৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বতীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। বিসিসিআই তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে এজিএমের সিদ্ধান্তসমূহ জানিয়েছে। সেখানে মিঠুন মানহাস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া রাজিব শুকলা ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। জয় শাহর ছেড়ে দেওয়া সেক্রেটারি পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন দেভজিৎ সাইকিয়া। তিনি পূর্ণ মেয়াদে সেক্রেটারি হয়েছেন। জয়েন্ট সেক্রেটারির দায়িত্ব পেয়েছেন প্রভতেজ ভাটিয়া এবং ট্রেজারার নির্বাচিত হয়েছেন রঘুরাম ভাট।
বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতা এবং দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র বাসভবনে এক বৈঠক হয়েছিল। ওই বৈঠকেই মূলত বিস্ময়করভাবে মিঠুন মানহাসের নাম আসে।
বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সৌরভ গাঙ্গুলি, হরভজন সিং এবং কিরণ মোরে অংশ নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শীর্ষ পর্যায় থেকে মানহাসের নাম আসায় তারা আর মনোনয়ন সংগ্রহ করেননি।
এ নিয়ে টানা তৃতীয়বার সাবেক ক্রিকেটার বিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট হলেন। এর আগে সৌরভ গাঙ্গুলি ২০২২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী পেসার রজার বিন্নি দায়িত্বে ছিলেন। এবার মানহাস দায়িত্ব নিলেন।
৪৫ বছর বয়সী মানহাস আন্তর্জাতিক কোন ম্যাচ খেলেননি। দীর্ঘ ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা আছে তার। কোচিংয়ের সঙ্গেও ছিলেন তিনি। কাজ করেছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গেও।
নতুন দায়িত্ব নিয়ে মানহাস জানিয়েছেন, তার কোনো এজেন্ডা নেই। তিনি কেবল ভারতের ক্রিকেটকে আরও এগিয়ে নিতে চান, ‘বিশ্বের সবচেয়ে ভালো ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হওয়া আমার জন্য সম্মানের। এটা অনেক বড় দায়িত্বও। আমি সর্বোচ্চ আবেগ ও ত্যাগ নিয়ে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করবো। ক্রিকেটার ও প্রশাসক হিসেবে আমার কাজই আমার পক্ষে কথা বলেছে। যা সামনেও সহায়তা করবে।’