টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার পর এবার ওয়ানডে মিশনে নেমেছে বাংলাদেশ। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ।
বুধবার (৮ অক্টোবর) আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ভালো শুরুর আভাস দিয়েও ফিরে যান তানজিদ হাসান তামিম। ৫৩ রানেই টপ-অর্ডারের ৩ ব্যাটারকে হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয় ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও সাইফ হাসান স্বাচ্ছন্দেই খেলছিলেন। কিন্তু পুরনো ভূত মাথাচাড়া দিতে সময় লাগেনি। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের করা ইনিংসের চতুর্থ ওভারে অফস্টাম্পের বাইরের বলে ভুগছিলেন তামিম। দ্বিতীয় বলেই ক্যাচ তুলেও জীবন পেয়েছেন। কিন্তু সুযোগ আর কাজে লাগাতে পারলেন কই! এক বল পরেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন এই বাঁহাতি। এরপর ক্রিজে এসে দ্রুতই ফিরে গেছেন নাজমুল হোসেন শান্তও।
১৮ রানের ওপেনিং জুটি গড়ে ফিরে গেছেন তানজিদ তামিম। একবার জীবন পেয়েও ১০ বলে করেছেন ১০ রান। ওমরজাইয়ের হার্ড লেন্থের বল তামিমের ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে উইকেটের পেছনে রহমানউল্লাহর হাতে জমা পড়ে।
টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলের বাইরে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত ওয়ানডে সিরিজে ভালো শুরু পেলেন না। ওমরজাইয়ের করা ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই ক্যাচ দিয়েছেন এই সাবেক অধিনায়ক। তার আগে ৫ বলে করেছেন ২ রান।
ওয়ানডে অভিষিক্ত সাইফ হাসান ক্রিজে জুটি গড়ার চেষ্টা করছেন তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে। তবে নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি সাইফ। ৩৭ বলে ২৬ রান করা ডানহাতি এই ব্যাটার ফেরেন নাঙ্গেলিয়া খারোতের বলে রশিদের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
৫৩ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেট জুটিতে তখন ম্যাচের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয় ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজনে মিলে দলীয় রান একশ পার করেন। এদিকে ৩৯ ওভার ৩ বল শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৭৬ রান।