এশিয়ান কাপ ফুটবলে ভক্তরা আরও একটা নাটকীয় ম্যাচ দেখলো। সে সঙ্গে দেখলো দুই হেভিওয়েটের অসম্ভব এক লড়াই। যে লড়াইয়ে ২-১ গোলে দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে পা রেখেছে ইরান। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলায় এগিয়ে থেকেও বিদায় নিতে হয়েছে জাপানকে। ৯৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে জয় পায় ইরান।
আমির গালেনইয়ের হাত ধরে ইরানের ফুটবলে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। গত ১৯ বছরে জাপানকে কখনো হারাতে পারেনি ইরান। এবার এশিয়ান কাপে সেই অচলাবস্থা থেকে বের হয়ে এসেছে তারা। গত মার্চে দায়িত্ব নেওয়ার পর গালেনইয়ের প্রশিক্ষণাধীন ইরান দলটি এখনো অপরাজিত রয়েছে। তাদের ম্যাচের সংখ্যা এখন ১৬। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে মাঠে এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা হয়। আনন্দে ইরানের অনেক খেলোয়াড় কান্না করতে থাকেন।
ম্যাচের শুরুতে শারীরিক সংঘাতটা বেশি ছিল। এরই মাঝে জাপানের হিদেমাসা মোরিতা অসাধারণ এক গোল করে জাপানকে এগিয়ে নেন। তার এ গোল ইরানের সমর্থকদের স্তদ্ধ করে দেয়। তবে খুব বেশি সময় ইরানি সমর্থকরা চুপ থাকেনি। বিরতির পরপরই ইরানি সমর্থকদের কণ্ঠ আবার স্বমহিমায় ফিরে আসে। ৫৫ মিনিটে মোহাম্মদ মোহেবি সমতা ফেরানো গোলটি করেন।
প্রথমার্ধের ম্যাচে জাপানের স্পষ্ট আধিপত্য ছিল। কিন্তু সমতাসূচক গোলের পর খেলা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় ইরান এবং ইনজুরি সময়ে (৯৪ মিনিট) পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে মূল্যবান জয় এনে দেন আলিরেজা জাহানবাখ। জাপানের কো ইতাকুরা বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন। বল চলে যায় হোসেন কানাইয়ের কাছে। দলকে রক্ষা করতে কানাইকে অবৈধভাবে বাধা দেন ইতাকুরা। সঙ্গে সঙ্গে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। আলিরেজা তা থেকে গোল করতে ভুল করেননি।
ইরান সেমিফাইনালে কাতারের মুখোমুখি হবে। তারা উজবেকিস্তানকে টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে। অন্য সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে দক্ষিণ কোরিয়া ও জর্ডান।