ইউরোপা লিগ

রেকর্ড গড়ে লেভারকুসেন ফাইনালে

অসাধারণ বললেও কম বলা হবে। উয়েফা ইউরোপা লিগের সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছিল বেয়ার লেভারকুসেন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) নিজেদের মাঠের খেলায় সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে দুই গোলে পিছিয়ে থাকায় তাদের ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা চিকন সুতায় ঝুলে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহুর্তের দুই গোলের সুবাদে রোমার সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে তারা। এতে ৪-২ গোলে গড়ে এগিয়ে থেকে লেভারকুসেন ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেছে। শিরোপা লড়াই তারা ইতালিয়ান ক্লাব আটালান্টার মুখোমুখি হবে। আটালান্টা মার্শেইকে বিদায় করে ফাইনালে উঠেছে। আগামী ২২ মে ডাবলিনে ফাইনাল হবে।

ইউরোপা লিগের ফাইনালে ওঠার মধ্য দিয়ে লেভারকুসেন ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার তৃতীয় ফাইনালে উঠলো। ১৯৮৮ সালে তারা উয়েফা কাপ জয় করেছিল। আর ২০০২ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠলেও শিরোপা জয়ে ব্যর্থ হয়েছিল।

রোমাকে হারানোর মধ্য দিয়ে লেভারকুসেন টানা অপরাজিত কীর্তি গড়েছে। সব ধরণের প্রতিযোগিতা মিলে লেভারকুসেন বর্তমানে ৪৯ ম্যাচে অপরাজিত। রোমাকে হারানোর মাঝ দিয়ে বেনফিকার গড়া রেকর্ডকে তারা টপকে গেছে। বেনফিকা ১৯৬৩ সাল থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত সময়ে টানা ৪৮ ম্যাচে অপরাজিত ছিল।

টানা অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়লেও নিজেদের মাঠে ফিরতি লেগের এ ম্যাচটা লেভারকুসেনের জন্য কঠিন হয়ে দেখা দিয়েছিল। ৬০ মিনিটের মধ্যে লিয়ান্দ্রো পারাদেসের জোড়া গোলে রোমা দুই গোলে এগিয়ে গিয়েছিল। পারাদেসের করা দুটো গোলই ছিল পেনাল্টি থেকে পাওয়া।

কঠিন এক পথ পাড়ি দিতে হবে তা ভালো করেই জানাতো রোমা। এমনিতে প্রথম লেগে দুই গোলের হার। তারওপর এ ম্যাচ অ্যাওয়েতে। কিন্তু সব কিছু ম্লান করে দিয়ে আক্রমণে ঝড় তুলেছিল রোমা। আর সেই ঝড় রুখতে অবৈধ পথের আশ্রয় নিতে হয়েছিল লেভারকুসেনকে। তা থেকে দুটো পেনাল্টি পায় লেভারকুসেন। দুটো পেনাল্টি থেকে গোল করে রোমা দুই গোলে এগিয়ে যায়। কিন্তু ভাগ্যটা সহায় ছিল লেভারকুসেনের। তাই তো ৮২ মিনিটে আত্মঘাতী গোলের সুবাদে তারা ব্যবধান কমানোর সুযোগ পায়। মূলত এ গোলই লেভারকুসেনের ফাইনাল খেলা নিশ্চিত করে। তবে এখানে থেমে থাকেনি লেভারকুসেন। ৯৭ মিনিটে জোসিপ স্ট্যানিসিকের গোল লেভারকুসেনের অপরাজিত থাকার কীর্তিকেও ধরে রাখে।