শেষ পর্যায়ে ইউরো ও কোপা আমেরিকা। উভয় টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল শেষ। এখন অপেক্ষা শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের। তার আগে রয়েছে স্থান নির্ধারণী। কোপার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ সোমবার। তার আগের দিন স্থান নির্ধারণী ম্যাচ। কোপার পাশাপাশি একই দিনে মাঠে গড়াবে ইউরোর ফাইনাল। তবে বিস্ময়কর হলেও সত্যি ইউরোতে কোনো স্থান নির্ধারণী ম্যাচ হবে না। অর্থাৎ কে তৃতীয় এবং কে চতুর্থ তা জানা যাবে না।
স্পেনের কাছে হেরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে বিশ্বকাপের রানার্স আপ দল ফ্রান্স। অন্য সেমিতে ইংল্যান্ডের কাছে হারে নেদারল্যান্ডস। বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকায় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ থাকলেও ইউরোতে নেই।
শুরুতে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে স্থান নির্ধারণী ম্যাচ ছিল। কিন্তু গত ১৯৮৪ সাল থেকে ইউরোতে স্থান নির্ধারণী ম্যাচ হয় না। সর্বশেষ ১৯৮০ সালে ইতালিতে অনুষ্ঠিত ইউরোর আসরে স্থান নির্ধারণী ম্যাচ হয়েছিল। এ ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়েছিল। পরবর্তীতে চেকোস্লোভাকিয়া টাইব্রেকারে ৯-৮ গোলে জয় পেয়েছিল।
মূলত দর্শক খরার কারণে ইউরো থেকে স্থান নির্ধারণী ম্যাচ বাদ দেওয়া হয়েছে। মাঠে যেমন দর্শক খরা হয়, তেমনি টেলিভিশনে দর্শকের সংখ্যা কম থাকে। সে কারণেই স্থান নির্ধারণী ম্যাচ থেকে সরে এসেছে ইউরো কর্তৃপক্ষ।
ইউরোতে স্থান নির্ধারণী ম্যাচ থাকলে ফুটবল দর্শকেরা আরও একটা উপভোগ্য ম্যাচ দেখতে পারতো। কেননা, ফাইনাল খেলতে পারতো এমন দুটো দল ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডস স্থান নির্ধারণী ম্যাচের প্রতিযোগী ছিল।